জাফর আলম, কক্সবাজার:
কক্সবাজারের উপজেলার টেকনাফ বাহারছড়ায় সম্পত্তির লোভে নিজের চাচার ষড়যন্ত্রে ডাকাতের হাতে অপহৃত হয়েছিলেন ভাতিজা বেলাল।
অপহরণের পর মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হয়েছিল ৭০ লাখ টাকা। পুলিশ সেই চাচা ও পাহাড়ি ডাকাতসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত বেলালকে।
টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই চক্রকে গ্রেপ্তার করে।অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার ফকির মিস্ত্রীর ছেলে আবছার উদ্দিন (৩৩), একই এলাকার আবুল হোছাইনের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৫) এবং বাহারছড়া দক্ষিণ শীলখালী এলাকার মকবুল আহমদের ছেলে আমীর আহমদ (৫৫)। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুলিশ পাহাড়ে অভিযানে অপহরণের শিকার বেলালকে উদ্ধার ও জড়িত দুই ডাকাত অস্ত্র এবং ষড়যন্ত্রে জড়িত চাচাকে গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে টেকনাফ মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার বিকেলে বাহারছড়ার জাহাজপুরা পাহাড়ি ঢালায় দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে অপহৃত বেলালকে উদ্ধার করে মুক্তিপণ নিতে আসা আবছার ও জসিম নামে দুই ডাকাতকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, ২ রাউন্ড কার্তুজ, একটি দা এবং কিরিচ উদ্ধার করা হয়।ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, আটকদের দেওয়া তথ্যে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী অপহৃত বেলালের চাচা আমীর আহমদকেও আটক করা হয়।
পুলিশের তথ্য মতে, বেলালের চাচা আমীর আহমদ সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে রোহিঙ্গা ডাকাত শফির সঙ্গে চুক্তি করে তার ভাতিজা বেলালকে অপহরণ করেন। গত সোমবার ভোরে বেলালকে নিজবাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা প্রথম থেকেই ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল।
এ ঘটনায় গত ১৬ অক্টোবর টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া আটক আসামিদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আরো একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত