টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অপরাধে প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে (ডিবি) পুলিশ টাঙ্গাইল দক্ষিণ। ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু এ সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২০ নভেম্বর টাঙ্গাইলে পুলিশ কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ সেপ্টেম্বর এর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, ধনবাড়ির শ্রীহরিপুর গ্রামের ছবুর উদ্দিনের ছেলে এস এম আয়াত (১৯), সদর উপজেলার বাগবাড়ীর গ্রামের জাফর আলীর ছেলে মো. জিহাদ (১৯), কালিকৈটাল গ্রামের জুব্বার সিকদারের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (১৯), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে মেহেদী,দ্বীপক চন্দ্র রায়ের ছেলে, হিমান্ত চন্দ্র রায় আপন (১৯), ওবায়দুল মিয়ার ছেলে,তুহিম মিয়া (১৯)।
ডিবি পুলিশ টাঙ্গাইল দক্ষিণ ২৭ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৬ টায় অভিযান পরিচালনা করে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানাধীন কেল্লাবন্ধ এলাকার হলি ছাত্রাবাস হতে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা জানায়, পুলিশ কনস্টেবলের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থী এস এম আয়াত (১৯) মো: জিহাদ (১৯) ও মোঃ আব্দুল্লাহ (১৯) এর লিখিত পরীক্ষার খাতায় প্রাপ্ত নম্বর এবং তার মৌখিক পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে অসঙ্গতি ও তারতম্য পরিলক্ষিত হওয়ায় নিয়োগ বোর্ড তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞসাবাদে প্রার্থরা স্বীকার করে যে, গত ১৩ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় নিজেরা অংশগ্রহণ না করে অসৎ পন্থা অবলম্বন করে অন্য ব্যক্তিদের দিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করানো হয়। তাই এ কারণেই তাদের এমন তারতম্য হচ্ছে। আর তাই এ বিষয়ে গত ২০ নভেম্বর টাঙ্গাইল সদর থানার ৪৪৮/৪১৯/৪২০/৪০৬/১০৯/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ । যার মামলা নম্বর- ২০।
গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে বিভিন্ন প্রার্থীর নকল প্রবেশ পত্র- ৬০টি, ছবি- ৩২টি, বিভিন্ন নম্বর সম্বলিত এবং স্বাক্ষরিত ফাঁকা রাজস্ব স্ট্যাম্প- ৭০টি, বিভিন্ন ব্যাংকের স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক- ০৯টি, মোবাইল ফোন- ০৭টি, কম্পিউটার পিসি- ০১টি, হিসাবের ডাইরী- ০১টি, স্ট্যাম্প প্যাড- ০১টি, সিল- ০২টি, ২টি ব্যাগসহ ৩টি কভার ফাইল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামীদের স্বীকারোক্তিতে জানাযায়, বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় দেশের বিভিন্ন জেলায় চক্রবদ্ধভাবে জালিয়াতির সাথে তারাই জড়িত । পুল সুপার আরো জানান, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিচারের জন্য আদালতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া জালিয়াতির সাথে জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।