টাঙ্গাইলে কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রী অন্তঃসত্তা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে এক কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতার নাম রবিন (১৯)।

এ ঘটনায় শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রবিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত রবিন উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কেরামজানী পশ্চিমপাড়ার ওমান প্রবাসী লেবুর মিয়ার ছেলে এবং সে এইচএসসি শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়,গত দেড় বছর আগে রবিনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে ওই ছাত্রীর। প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক মেলামেশা করে। কয়েকমাস আগে বিষয়টি জানাজানি হলে হঠাৎ যোগাযোগ বন্ধ করে ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায় রবিন।
এরই মধ্যে স্কুলছাত্রীর শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে আল্ট্রা করলে জানতে পারে সে ৮ মাসের অন্তঃসত্বা। এ সম্পর্কের বিষয়টি স্থানীয় মাতাব্বরদের জানালে গত বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর একটি সালিশি বৈঠকের উদ্যোগ নেন তারা। সালিশে অভিযুক্ত রবিন প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে। রবিন প্রভাবশালী হওয়ায় সালিশে সুষ্ঠু বিচার পাননি বলে জানায় ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগীর মা জানান, গত বৃহস্পতিবার ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন, মাতাব্বর সালাউদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন দোলা, সরুজ মেম্বারসহ মিমাংসা করার জন্য বৈঠক করে। সেই বৈঠকে রবিন প্রেম ও মেলামেশার সম্পর্ক অস্বীকার করে।
অভিযুক্ত রবিনের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য হুমকিসহ নানা চাপ প্রয়োগ করছে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বলেন, সালিশে মাতাব্বরা সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার দেয়নি। উল্টো আমাদের হুমকি দিচ্ছে। রবিনের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা না করলে আমার মরণ ছাড়া কোনো উপায় নেই।

এ ঘটনায় ধনবাডী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম শহীদুল্লাহ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।