জুম Zoom ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপ এই করোনা আবহে ত্রাতার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে৷ লকডাউনেরে জেরে সাধারণ জনজীবন বিপর্যস্ত এই অবস্থায় এই অ্যাপের মাধ্যমে সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় চলছে সব কাজকর্ম৷ এই অ্যাপে যখন কেউ কনফারেন্সে অংশ নিচ্ছে সেই ব্যক্তি চাইলে নিজের ক্যামেরা অফ রাখতে পারে, তবুও সে মিটিংয়ে অংশ নিতে পারে৷ এই ধরণের ফিচার্স থাকার কারণে অনেকেই একেবারে সঠিক ধরণের অফিস পোশাক না পরও মিটিংয়ে অংশ নিতে পারেন৷
তবে এই ক্যামেরা বন্ধ করেছি মনে করে বন্ধ না করলে একেবারে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়৷ এর আগেও জুম মিটিংয়ের মধ্যে একাধিক গণ্ডগোলের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তবে এবার যা হল তা একেবারে নক্কারজনক৷ ফিলিপিন্সের এক সরকারি কর্মকর্তাদের মিটিং চলাকালীন সেক্সে লিপ্ত ছিলেন৷ মিটিং চলাকালীন নিজের সেক্রেটারির সঙ্গে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হন তিনি৷ রোজকার মিটিংয়ের সময় এই কাণ্ডে জোর চাঞ্চল্য৷
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘সান’- র খবর অনুযায়ি ফতিমা দোস গ্রামের কাউন্সিল প্রভিন্সের কর্মকর্তা টেরই পাননি মিটিং চলাকালীন এদিন তিনি ক্যামেরাটি বন্ধ করতে ভুলে গেছেন৷ মিটিং যখন চলছে তখন ঘরের এক কোণে যৌন মিলনে ব্যস্ত রয়েছেন সরকারি ওই অফিসার।
প্রথমে ভিডিওতে দেখা যায় এস্টিল আস্তে করে কম্পিউটারের কিছু একটা বোতাম টিপছেন, মানে যেভাবে ক্যামেরা অফ করে তার চেষ্টা করছেন৷ ক্যামেরা অফ আছে ধরে নিয়ে বৈঠক চলাকালীন নিজের সেক্রেটারির সঙ্গে যৌন মিলনের আনন্দে রত ছিলেন তিনি৷ এদিকে অন্যরা তখন মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন৷
এস্টিল যৌন মিলন হয়ে যাওয়ার পর আবার মিটিংয়ে যোগ দেন৷ এদিকে অন্য এক সদস্য যিনি মিটিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন তার কাছে গোটা মিটিংয়ের বৈঠকের রেকর্ডিং ছিল৷ ধীরে ধীরে এই সেক্স ভিডিও পাবলিক হয়ে যেতে ষুরু করে ৷ অফিসারের এই ধরণের ন্যাক্কারজনক পদক্ষেপের পর গ্রামবাসীরা তার পদত্যাগ দাবি করেন৷
ভিডিওটি মারাত্মক ভাইরাল হয়ে যায়৷ পাশাপাশি স্থানীয় খবর চ্যানেলগুলিও এই ভিডিও নিয়ে আলোচনা শুরু করে৷ এরপর ওই আধিকারিক ও তার সচিব ২ জনেই ক্ষমাপ্রার্থনা করেন৷ এই মুহূর্তে এস্টিলকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
স্থানীয় কর্মকর্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন৷ এদিকে এর আগে ব্রাজিলেও এই একই ধরণের ঘটনা ঘটেছিল৷ যেখানে জুম মিটিং চলাকালীন সেক্স করছিলেন এক ব্যক্তি৷ তিনিও রিও -র সিটি কাউন্সিলের বৈঠকের সময়েই এই ঘটনা ঘটেছিল৷