ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে রিমান্ডে থাকা যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী এবং মানি লন্ডারিং বিধিমালায় যে বিধান আছে সেগুলো অনুযায়ী কোনো মামলা হলে কিংবা কোনো সংবাদ হলে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়। ব্যাংকেরও কিছু দায়-দায়িত্ব আছে, যেমন-অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্টে কার কত টাকা টাকা আছে তা বিএফআইইউকে জানানো। আর এসব অ্যাকেউন্টের বিষয়ে বিএফআইইউকেও কিছু ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তবে জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে এবং কোন কোন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তা জানতে চাইলে রাজী হাসান বলেন, সংবাদ মাধ্যমে টাকার পরিমাণের যে খবর আসছে সে বিষয়ে বলতে চাই না। কিন্তু কত টাকা আছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
সাধারণত সন্ত্রাসী ও মানি লন্ডারিং বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে বিএফআইইউ তা অনুসন্ধান করে। সম্প্রতি এসব অপরাধে যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের হিসাবও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনুসন্ধানকালে তাদের হিসাবে টাকা জমা হবে কিন্তু উত্তোলন করতে পারবে না।
জানা গেছে, রোববার জিকে শামীমের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য কয়েকটি ব্যাংকে চেক জমা পড়ে। এরপর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগাযোগ করে পরামর্শ চাওয়া হলে বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশনা দেয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) থেকেও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জিকে শামীম ও খালেদের বিরুদ্ধে।
শামীম, তার স্ত্রী ও শাশুড়ী এবং খালেদের ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশনা দিয়েছে এনবিআর।
এছাড়া জি কে শামীম ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দিচ্ছে কি না তার সন্ধানে নেমেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। ইতোমধ্যে কর সার্কেল থেকে আয়কর নথি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইসিতে তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।