জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত নয় বরং আওয়ামী লীগই রাজাকারের দল। আওয়ামী লীগ সরকার রাজাকারের যে তালিকা করেছিল, সেখানে জামায়াতে ইসলামীর ছিল ১৩৪ জন, আর আওয়ামী লীগের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার। সেই তালিকা পরে পছন্দ না হওয়ায় বাতিল করা হয়েছিল।
দেশের একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাতকারে জামায়াত আমীর এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল কি জামায়াতে ইসলামীর আমীর বা রোকন ছিলেন? সেজন্য তিনি আওয়ামী লীগকে বিব্রত করার জন্য ওই তালিকা করেছিলেন? তিনি যদি জামায়াতের আমীর বা রোকন হন, তাহলে তাকে এতদিন আওয়ামী লীগে বা ওই মন্ত্রণালয়ে রাখা হয়েছে কেন? আওয়ামী লীগের করা তালিকায়ই তাদের দলের রাজাকারের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার, আর জামায়াতের সংখ্যা ছিল ১৩৪। তাহলে রাজাকারের দল কোনটা?
জামায়াত আমীর বলেন, আমি এটা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, তখন জামায়াত ছিল, ছাত্রসংঘ ছিল, মুসলিম লীগ ছিল, নেজামে ইসলাম এবং আওয়ামী লীগসহ বহু দল ছিল। সেসময় আওয়ামী লীগের লোকেরাও কিন্তু রাজাকার ছিল। এটা আমার নিজের চোখে দেখা। সারা বাংলাদেশের কথা জানি না, আমার এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকেরা রাজাকারে ছিল। কোন ফিলোসফি থেকে তারা গিয়েছে, এক পাকিস্তানের জন্য গিয়েছে নাকি নিজ পরিবারকে বাঁচাতে গিয়েছে, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে।
তিনি বলেন, এমনও হয়েছে এক ভাই মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছে আরেক ভাই রাজাকার ছিল। শেখ হাসিনা নিজে বলেছেন, সব রাজাকার খারাপ নয়, কিছু ভালো মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছে। অর্থাৎ তার দলের রাজাকার যারা, তারা ভালো, আর অন্যরা খারাপ।
জামায়াত আমীর বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে তখন যারা ছিল, যে ভালো মনে করেছে সরকারের ডাকে সাড়া দিয়েছে। এটাকে দলের রেসপন্সিবিলিটি বলা যাবে না, এটা পার্সনের রেসপন্সিবিলিটি। তবে পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে যদি এমন কোনো দল গঠন হয়ে থাকে, সেই রেজ্যুলেশন যদি আওয়ামী লীগের কাছে ডকুমেন্ট হিসেবে যায়, অবশ্যই জাতি একসেপ্ট করবে, আমিও একসেপ্ট করব। কিন্তু আপনি বলে দিলেন আর আমি হয়ে গেলাম, বিষয়টা এমন না।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কেউ যদি অপরাধী হয়ে থাকেন, স্বয়ং গোলাম আজম সাহেবও যদি থাকেন, তাহলে তার বিচার হবে, আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, তারা যদি অপরাধী হয়ে থাকেন তাহলে তখন তাদের বিচার হলো না কেন? তখন তো আলামত স্পষ্ট, ঘটনাও তাজা, স্বাক্ষীও জীবিত ছিল। পরে এই ঘটনা কীভাবে জেনারেট হলো, স্বাক্ষী কীভাবে আসলো? আপনারা জানেন যে, ওই বিচারের সময় সেফ হাউজ নামে একটা হাউজ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য শিখিয়ে দেওয়া হতো। যারা কথা শুনত না তাদেরকে মারপিট করা হতো। এগুলো তো মূলধারার মিডিয়ায় এসেছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত