জাবিতে শিক্ষক নিয়োগ ও পদন্নোতিতে অধ্যাদেশ লঙ্ঘন: শিক্ষক ঐক্য পরিষদ

27

শহিদুল্লাহ মনসুর, জাবি প্রতিনিধি
সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ ও পদন্নোতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ’৭৩ লঙ্ঘিত হওয়ায় উপচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষক ঐক্য পরিষদ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) এ স্মারকলিপি পাঠানো হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নয়ন নীতিমালা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) প্রেরিত হয়েছে বলে অনানুষ্ঠানিক সূত্রে জানা গেছে। উক্ত নীতিমালা গত ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় অনুমোদিত হলেও নীতিমালাটি প্রণয়নের কোনো পর্যায়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদে আলোচিত হয়নি।

স্মারকলিপিতে শিক্ষা পর্ষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভাপতি উপচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমকে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জানতে চাওয়া হয়, শিক্ষকগণের নিয়োগ ও পদোন্নতি কি একাডেমিক (শিক্ষা-গবেষণা) বিষয়, নাকি প্রশাসনিক বিষয়? যদি একাডেমিক বিষয় হয়ে থাকে তাহলে একাডেমিক কাউন্সিলে কেন আলোচিত হয়নি? একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদনের পূর্বে সিন্ডিকেটের জরুরী সভায় অনুমোদিত ‘শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা’ প্রয়োগ করে সম্পূর্ণ নতুন শিক্ষক নিয়োগ কেন বেআইনি ও বাতিল বলে গণ্য হবে না?

স্মারকলিপিতে আরও জানতে চাওয়া হয় যে, শিক্ষক পদের পুনর্বিন্যাস (পদ সৃষ্টি/পরিবর্তন) কি একাডেমিক বিষয়? নাকি প্রশাসনিক বিষয়? যদি একাডেমিক বিষয় হয়ে থাকে তাহলে একাডেমিক কাউন্সিলে কেন আলোচিত হয় না? বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম, ৩য় (২.২ গ), ও ৫ম (২.২ গ) সংবিধির আলোকে ও ২৪/৩/১৯৭৮ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত শিক্ষা পর্ষদের ২৯ তম সভার সুপারিশ অনুযায়ী (২০১৮ সালে প্রকাশিত চাকুরিবিধির পৃষ্ঠা ২৩) সকল প্রকার পদ সৃষ্টি/পরিবর্তনের সুপারিশ অনুষদ কমিটি ও শিক্ষা পর্ষদে প্রেরণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কেন প্রেরণ করা হয়নি?

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হতে হলে শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো গত ২১ মার্চ ২০২২ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত এক একাডেমিক কাউন্সিলের সভায়। অথচ জাহাঙ্গীরনার বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে একাডেমিক কাউন্সিলে কোনো প্রকার আলোচনা না করেই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ২৪ ধারায় বলা আছে যে, শিক্ষা পর্ষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থা হবে।

উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষা পর্ষদের বিষয়গুলি প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্মারকলিপিতে।