শহিদুল্লাহ মনসুর: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বান্ধবীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীর নাঈমুর রহমান নাঈমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পত্র জমা দিলেও কোনো ব্যাবস্থা গ্রহণ করছেনা প্রশাসন।
গত ৩১ মার্চ ভুক্তভোগী এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল।
ভুক্তভোগী জানান, আমি অঅভিযোগপত্র জমা দিলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এতে শুধু আমার ও আমার পরিবারের সম্মানহানি হয়েছে। এখান বুঝতে পারছি মানুষ কেন আত্মহত্যার পথ বেচেঁ নেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাবির যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির সভাপতি ও লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক জেবউননেছা বলেন, এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের একটি অভিযোগ দিয়েছে। তবে, হাইকোর্টে বিভাগের সমন্বয় কমিটি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কোনো ঘটানা আমাদের আওতাভুক্ত না হওয়ায় আমরা অভিযোগ পত্র গ্রহণ করিনি।
অভিযোগ পত্র সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত নাঈমুর রহমান নাঈমের সঙ্গে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর প্রায় ৭ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হলেও তাদের মধ্যে পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে নাঈমুর রহমান মুসলিম ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফ নিয়ে শপথ করে ভুক্তভোগীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২ মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করে অভিযুক্ত নাঈমুর। সর্বশেষ গত ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জামসিং এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এরপর বিয়ে করার কথা জানালে নাঈমুর অস্বীকৃতি জানান বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
বহিরাগত ওই ছাত্রী বলেন, আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি না দিলে কখনোই আমি নাইমুরের সঙ্গে লিভটুগেদারে যেতাম না। সে মূলত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এমনকি বিয়ের কথা জানালে সে আমাকে জাবিতে ডেকে নিয়ে তার বন্ধুদের দিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে।
মারধরের ঘটনার বিষয়ে আবুবকর রাশেদ ওরফে রাশু বলেন, ওইদিন ওই মেয়ের সাথে মারামারি করেছে ঐশী। আমি মোটেই তার গায়ে হাত দিইনি। বরং মেয়েটিকে ঘটনাস্থল সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
তবে মারামারির কথা স্বীকার করে অন্য অভিযুক্ত অথি সরকার ঐশি বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা, ‘প্রথমে আমাকে বহিরাগত মেয়েটি ঘুষি মারে। পরে আমি তাকে মেরেছি। ঐশী আরও জানান, নাঈম ভাইয়ের সাথে আমার পূর্বের কোনো পরিচয় নেই। তবে একথার কোনো ভিত্তি নেই। বরং একাধিক সূত্রে জানা যায় ঐশী আর নাঈম পূর্বপরিচিত।
ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নাঈমুর রহমান নাঈম বলেন, পারিবারিক ব্যবসা ও নিজের ব্যস্ততার কারণে ওর সাথে আমার রিলেশন কন্টিনিউ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাকে আমি কখনোই জোর করে ধর্ষণ করিনি।