স্টাফ রিপোর্টার: জমি বিক্রির কথা বলে ৪ লাখ টাকা বায়না নিয়ে চার বছরে জমি ও টাকা ফেরৎ না দেয়ায় মাও: অলিউল্লাহ নামে এক প্রতারককে আটক করেছে লালমোহন থানা পুলিশ।
আটক প্রতারকের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানায়। এ ঘটনায় দুলারহাট এলাকার প্রতারণার শিকার মোঃ মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে লালমোহন থানায় মামলা নং-১৫, তারিখ ১৪/৪/২০২২ দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১নং আসামী মাও: অলিউল্লাহ দুলারহাট থানার চর তোফাজ্জল মৌজায় এস ২৮৮নং খতিয়ানের হাল জরিপের ৯১৩ দাগে ক্রয়সূত্রে ২৪ শতাংশ নাল সম্পত্তির মালিক। ১নং আসামীর নগদ টাকা প্রয়োজন হলে উক্ত ২৪ শতাংশ জমি বিক্রয় করিবে মর্মে বাদী মোঃ মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে ০২/০২/২০১৮ সালে ২৪ শতাংশ জমির বহায় মূল্য ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। উক্ত সময়ে ১নং আসামী সাক্ষীগণের মোকাবেলায় বলে যে, জমি জমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুুত করে বাদী মোঃ মনিরুল ইসলামের নামে দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করে দিবেন। পরবর্তীতে ১নং আসামী মাওঃ অলিউল্লাহকে ৪ লাখ টাকা জমি রেজিষ্ট্রি করার জন্য দেয়া হয়। বাকী পাওনা ৮ লাখ টাকা গ্রহণ করে বিক্রিত জমি রেজিষ্ট্রি করিয়া দেয়ার কথা থাকলেও দেয় দিচ্ছি করে বাদীকে ঘুরাতে থাকে।
মামলায় আরও বলা হয়, বিগত ১৫/৫/২০১৯ তারিখে আসামীদের সাথে বাদীর বায়নাকৃত বিক্রিত জমির কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বাদীর চুক্তিকৃত জমি আসামীর দখলে ও কাগজপত্রে ত্রুটি আছে। সে কারণে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আসামীর চুক্তিকৃত বিক্রিত জমি বাবদ বাদীর নিকট হইতে নেয়া ৪ লাখ টাকা আসামী ফেরত দেবে মর্মে একটি স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র হয়। চুক্তিপত্রে আসামী ঐ তারিখ হইতে ১ মাসের মধ্যে বাদীর সব টাকা পরিশোধ করে দিবে মর্মে ১ ও ২ নং আসামী চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে। তখন অন্যান্য আসামীরাও উপস্থিত ছিল। বাদীর টাকা না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসামী এলাকা থেকে পালিয়ে ৪ নং আসামী তার মেয়ের বাড়ি লালমোহনে থাকে। পরবর্তীতে লোকজনের মাধ্যমে ৪নং আসামীর বাড়িতে ১নং আসামীর সাথে যোগাযোগ করলে সব আসামী বাদী মোঃ মনিরুল ইসলামকে লালমোহন আবুগঞ্জ বাজারে এসে টাকা নেয়ার জন্য বলেন। তাদের কথামত ১৩/৪/২০২২ তারিখ বিকেলে আবুগঞ্জ বাজারে টাকা নিতে আসেন মনিরুল ইসলাম। এসময় আসামীদের কাছ থেকে পাওনা ৪ লাখ টাকা চাইলে টাকা না দিয়ে বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এবং বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দিতে থাকে এবং বাদী মনিরুল ইসলাম ও তার বাবাকে মারপিট করে তাদের সাথে থাকা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে লালমোহন থানা পুলিশ তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে এবং প্রতারক অলিউল্লাহকে আটক করে।
এ ঘটনায় মোঃ মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে লালমোহন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ১নং আসামী মাওঃ অলিউল্লাহকে কোর্টে প্রেরণ করেছেন।