বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদের শেষ শেকড়-বাকড়টিও উপড়ে ফেলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) উদ্যোগে অনলাইনভিত্তিক উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে নির্মিত সচেতনতামূলক ওভিসি ও টিভিসির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ওই অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ পুলিশের উর্ধ্বত্মন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এডিশনাল আইজিপি ও এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মো. কামরুল আহসান এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আইজিপি বলেন, শেষ জঙ্গিও নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। এখানে আত্মতুষ্টির কোনো স্থান নেই। আমরা জঙ্গিবাদের শেষ শেকড়-বাকড়টিও উপড়ে ফেলতে চাই।
জঙ্গিবাদ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলো- উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও সামনের সারিতে থেকে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ও এদেশের শান্তিপূর্ণ মানুষের জঙ্গিবাদ বিরোধী অবস্থানের কারণে জঙ্গিদের অসৎ উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনা বেশ নাড়া দেয়। তবে এর পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি আমরা বেশ সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছি। যে নেটওয়ার্কটি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সেটিকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ডিসমেন্টাল করে দিতে পেরেছি।এমনই একটা প্রেক্ষাপটে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এটিকে একটি রোবস্ট ইউনিট হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।আমাদের লক্ষ্য, জঙ্গিবাদের এ শকুনের থাবা যেন কোনোভাবেই বিস্তার না করতে পারে।
তিনি বলেন, দেশে কিছু মানুষ আছে যারা কোনও কিছুতেই ভালো দেখেন না। জঙ্গি আত্মসমর্পণ করলেও তাদের নেতিবাচক মন্তব্য। যারা এমন করেন তাদের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। তারা অসুস্থ, নৈরাশ্যবাদী।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের পুলিশের প্রতিটি ইউনিট সাইবার পেট্রোলিং অব্যাহত রেখেছে। এজন্য প্রতিটি ইউনিটের আলাদা সাইবার ইউনিট রয়েছে। এর ভিত্তিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
এসময় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিবাদ বিরোধী স্বরব উপস্থিতি অব্যাহত রাখতে প্রতিটি ইউনিটের প্রতি আহবান জানান।