লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
এইচএসসিতে জিপিএ ৪.১৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাদ আল আফনান পাটওয়ারী।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে আফনানের মা নাছিমা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে এ আনন্দের দিনে আফনান শূন্যতা অনুভব করছেন তার মা-বোন ও শিক্ষকরা। আফনানের ফলাফলে খুশির পরিবর্তে তাদের মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছে বলে জানান তারা।
আফনান লক্ষ্মীপুর ভিক্টোরি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর গ্রামের বাস টার্মিনাল এলাকার মৃত সালেহ আহমেদের ছেলে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরের সমন্বয়ক এনামুল হক।
তিনি বলেন, ‘আফনান লক্ষ্মীপুরের প্রথম শহীদ। তিনি এইচএসসিসহ দুনিয়ার সব পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে কৃতকার্য হয়েছেন। আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন দুনিয়ার মতো পরকালেও তাকে সফলতা লাভের তৌফিক দান করেন।
আরেক সমন্বয়ক আরমান হোসেন বলেন, ‘শহীদ আফনান জিপিএ ৪.১৭ পেয়ে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। এতে প্রমাণিত হয়েছে, প্রকৃত মেধাবীরাই এ আন্দোলন করেছেন।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আফনানের মা নাছিমা আক্তার বলেন, ‘আফনানের ভালো ফলাফল আমার কাছে খুশির খবর। কিন্তু যাকে নিয়ে আমি খুশি উদযাপন করবো, সে তো আমার কাছে নেই। গুলি করে আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমার কোল শূন্য করে দিয়েছে।
লক্ষ্মীপুর ভিক্টোরি কলেজের অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আফনান ভালো ফলাফল করেছে। এটি আনন্দের। কিন্তু সে তো আমাদের মাঝে নেই। তার ফলাফল শুনে আনন্দিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আমাদের মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরের মাদাম ব্রিজ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আফনান।
পরে ১৪ আগস্ট আফনানের মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান করে মামলা করেন। মামলায় ৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করা হয়।