চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে শুরুটা ঠিক চ্যাম্পিয়নের মতো করতে পারেনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে ঘুরে দাঁড়াতে একদমই সময় নেয়নি তারা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই উড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে, পেয়েছে প্রথম জয়ের দেখা।
মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কাছে পাত্তাই পায়নি কলকাতা। অধিনায়ক রোহিত শর্মার ৫৪ বলে ৮০ ও তিন নম্বরে নামা সূর্যকুমার যাদবের ৪৭ রানে ভর করে ১৯৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় মুম্বাই। যা তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি কলকাতা, ৪৯ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছে মুম্বাই।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কখনওই মনে হয়নি ম্যাচ জিততে চলেছে কলকাতা। প্রথম পাওয়ার প্লেতেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার শুভমান গিল (১১ বলে ৭) ও সুনিল নারিন (১০ বলে ৯), ছয় ওভার শেষে কলকাতার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে মাত্র ৩৩ রান।
এমন শুরুর পর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ওপর ছিল বাড়তি দায়িত্ব। যা যথাযথভাবে পালন করতে পারেননি অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক ও চারে নামা নিতিশ রানা। দুজন মিলে প্রাথমিক চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ঠ ছিল না। শুরুর ধাক্কা সামলে ৩২ বলে ৪৬ রান যোগ করেন এ দুজন।
কিন্তু পরপর দুই ওভারে সাজঘরে ফিরে যান ২৩ বলে ৩০ করা কার্তিক ও ১৮ বলে ২৪ রান করা রানা। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে রানা ফিরে যাওয়ার সময় কলকাতার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৭৭ রান। তখনও জয়ের জন্য করতে হতো ৫০ বলে ১১৯ রান।
খালি চোখে এটি খুব কঠিন মনে হলেও, তখন আন্দ্রে রাসেল ব্যাটিংয়ে নামায় খানিক আশার আলো দেখছিল কলকাতা। বিশেষ করে অপরপ্রান্তে ইয়ন মরগ্যান অপরাজিত থাকায় আশা করাটা মোটেও অমূলক ছিল না তবে তাদের আশা বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মুম্বাইয়ের ডানহাতি পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ।
কলকাতার জয়ের জন্য শেষের ৩০ বলে তখন ৯৬ রান প্রয়োজন, তখন বোলিংয়ে আসেন বুমরাহ। সেই ওভারে মাত্র ২ রান খরচ করে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন রাসেল (১১ বলে ১১) এবং মরগ্যানকে (২০ বলে ১৬)। তখনই মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় মুম্বাইয়ের।
তবে শেষদিকে প্যাট কামিনস মাত্র ১২ বলে ৩৩ রান করে পরাজয়ের ব্যবধান খানিক কমান। এর মধ্যে বুমরাহর ব্যক্তিগত শেষ ওভারেই ৪টি ছক্কা হাঁকান কামিনস। যদিও এতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শেষপর্যন্ত কলকাতার ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেটে ১৪৬ রানে। মুম্বাই পেয়েছে ৪৯ রানের জয়।
এর আগে টস জিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর পর দলটির ওপেনার কুইন্টন ডি কককে দ্বিতীয় ওভারে ফিরিয়ে দিয়েই একটা স্বস্তির সুবাতাস কেকেআর শিবিরে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন শিবাম মাভি।
ওই পর্যন্তই। এরপর শুধুই বল কুড়ানো। একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে আর বল কুড়িয়ে আনতে আনতে ব্যস্ত সময় পার করলেন কেকেআর ফিল্ডাররা। মুম্বাইর ওপেনার এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা জ্বলে উঠলেন ব্যাট হাতে। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন সুর্যকুমার যাদব।
৯০ রানের বিধ্বংসী এক জুটি গড়ে উঠলো এই দুজনের ব্যাটে। যাদব আউট হলেও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন রোহিত শর্মা। তার ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১৯৫ রানে।
৫৪ বল খেলে ৮০ রান করে আউট হয়েছেন রোহিত শর্মা। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মেরেছেন ৬টি। ২৮ বলে ৪৭ রান করে আউট হন সুর্যকুমার যাদব। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মেরেছেন তিনি। সৌরভ তিওয়ারি করেন ২১ রান। হার্দিক পান্ডিয়া করেন ১৮ রান। কাইরন পোলার্ড করেন অপরাজিত ১৩ রান।
আইপিএলের সবচেয়ে দামি বোলার অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স যারপরনাই হতাশ করেছেন। ৩ ওভার বোলিং করে তিনি দিয়েছেন ৪৯ রান। ওভারপিছু ১৬.৩৩ রান করে। অথচ উইকেটের খাতা শূন্য। ১টি করে উইকেট নেন সুনিল নারিন এবং আন্দ্রে রাসেল।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত