ঘিওরে অবৈধভাবে ফসলী জমী ধ্বংসের হিড়িক

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় দিন দিন মাটি খেকোদের থাবায় রাতের আঁধারে ফসলি জমি হয়ে যাচ্ছে পুকুর।

ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইয়নিয়নের হিজুলিয়া মৌজায় ফসলি জমির মাটি সহ হিজুলিয়া-ঠাকুর কান্দি খাল খননের মাটি ও খাল থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রির মহা কর্মযজ্ঞে মেতেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা শিমুল মিয়া।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বড়টিয়া ইয়নিয়নের হিজুলিয়া এলাকায় আবাদি ফসলি জমি সহ হিজুলিয়া-ঠাকুর কান্দি খাল খননের মাটি ও খাল থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে প্রতিদিন মাটি কাটা হচ্ছে। ভিকু দিয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট গভীর গর্ত করে মাটি কাটার ফলে এসব গর্তের পাশের কৃষিজমির মাটিও ভেঙ্গে পড়ছে।

অভিযোগ রয়েছে, জমির মালিকদের না জানিয়েও মাটি কাটা হয়। অনেক সময় দেখানো হয় ভয়ভীতি। পুকুর খনন নয়, আসল উদ্দেশ্য মাটি। ইট তৈরির জন্য মহামুল্যবান এ মাটি রাতারাতি নেওয়া হচ্ছে ইট ভাটায়।

এলাকা থেকে তিন ফসলি কৃষি জমি থেকে রাতের আধারে প্রভাব খাটিয়ে কাটা হচ্ছে এসব মাটি। এসব মাটির শেষ ঠিকানা হচ্ছে বিভিন্ন ব্রিস ইট ভাটায়। সন্ধ্যা হতেই চলাচল করে মাটি ভর্তি নিষিদ্ধ হাইড্রলিক ট্রাক। চলে দানবের মতো রাতভর। মাটি বাহী ট্রাকের প্রভাব পড়েছে সড়কগুলোতেও।

এ বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা শিমুল মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। পরে কথা ও দেখা হবে।

ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুর ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আইন অমান্য করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় মাটি বাণিজ্যের কোন সুযোগ নেই। অবৈধ প্রক্রিয়ায় মাটি-বাণিজ্য যারাই করবে তাদের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।