গ্রাম ও শহরের ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার কাজ চলছে: মোস্তাফা জব্বার

9

গ্রাম ও শহরের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইড (বৈষম্য) দূর করার মাধ্যমে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ওয়েবিনারে ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ফেসিলিটেশন-গ্লোবাল আয়োজিত দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সফল প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শুক্রবার সকালে মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ অফিসার ম. শেফায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, তরুণরাই ডিজিটাল বিপ্লবের যোদ্ধা। দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তারা অত্যন্ত মেধাবী। তাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরে শিক্ষায় ডিজিলাইজেশন যাত্রা আমরা শুরু করেছি। গ্রাম ও শহরের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইড দূর করার মাধ্যমে সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি তরুণ সমাজকে ডিজিটাল যুগের যোগ্য সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি শিক্ষক-অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে বিদ্যমান কর্মক্ষেত্রের বাস্তবতা তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষার্থীদের আজকের বৈশ্বিক ডিজিটাল জীবনধারার সাথে তাদের শিক্ষাজীবনের সামঞ্জস্যহীনতার কারণে কর্মক্ষেত্রে তারা বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দক্ষতা পায় না। তবে তাদেরকে একটু গাইড করতে পারলে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একটু দক্ষ করতে পারলে তারা অসম্ভবকে সম্ভব করতে সক্ষম। এর বাইরে শিক্ষার্থীরাও ইন্টারনেট থেকে নিজে নিজেই দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে ডিজিটাল যুগ এসে গেছে। করোনাভাইরাস বিষয়টি আরও স্পষ্ট করেছে, মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনের এখন হিড়িক পড়ে গেছে। প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর চাহিদা এখন ডিজিটাল ডিভাইস ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট। প্রত্যন্ত গ্রামে বসেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে। আমরা যদি আমাদের পপুলেশন ডিভিডেন্টের সুযোগটা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি আমাদের অগ্রগতির অগ্রযাত্রা অনিবার্য।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকার, ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ফেসিলিটেশনের সভাপতি কাজী হাসান রবিন এবং শিক্ষার্থী ফাতিমা নাহিদ বক্তব্য রাখেন।