নতুন বছর শুরুর দিনে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং দমন অভিযান থেমে নেই। গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া ও মধ্যাঞ্চলের বুরেইজি শরণার্থী শিবিরে আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) ইসরায়েলি নৃশংসতায় ১৭ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও ১০ জন ফিলিস্তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে চার শিশু এবং একজন নারী রয়েছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মধ্যরাতের পর জাবালিয়ার একটি বাড়িতে বাস্তুহারা লোকজনের আশ্রয়স্থলে চালানো ইসরায়েলি বর্বরতায় ১৭ জন শহীদ ও ২০ জনের বেশি লোক আহত হয়েছে।’
এদিকে, গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে গাজার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে বাস্তুহারা ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা চরমে গিয়ে পৌঁছেছে। এখনও গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে ইসরায়েল।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার উপত্যকার হাসপাতালগুলোতে ইসরায়েলি হামলার কারণে সেখানকার স্বাস্থ্যসেবা খাত পুরোপুরি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এসব হাসপাতালে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনগুলো ঘাঁটি তৈরি করেছে- ইসরায়েলের এমন অভিযোগকে ‘অস্পষ্ট’ ও ‘ঢালাও’ হিসেবে অভিহিত করে জাতিসংঘ বলেছে, বাস্তব অবস্থার সঙ্গে ইসরায়েলের অভিযোগের বিষয়টি সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে উপত্যকাটিতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৫৫৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও এক লাখ আট হাজার ৩৭৯ জন।