গফরগাঁওয়ে তিস্তা এক্সপ্রেসের ট্রেনে ইঞ্জিন বিকল

ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে আউটার সিগনাল এলাকায় তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকলের ঘটনায় প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল রেলপথে যোগাযোগ বন্ধ ছিল। পরে প্রায় ৩ ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শনিবার (১ জুন) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়। এতে হাজার হাজার ট্রেন যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। আন্ত:নগর তিস্তা ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কারণে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র ট্রেন গফরগাঁও,ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন আউলিয়া নগর এবং মোহনগঞ্জগামী মহুয়া ট্রেন মশাখালী রেলওয়ে স্টেশনে আটকা পড়ে।

গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার সেলিম আল হারুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে আউটার সিগলাল শিলাসী গ্রাম এলাকায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেন মশাখালী স্টেশনে এসে দাঁড়ায়। সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মহুয়া এক্সপ্রেস বগি রেখে ইঞ্জিন গফরগাঁও এসে তিস্তা এক্সপ্রেস পিছন থেকে ঠেলে স্টেশনে নিয়ে আসে। বর্তমানে তিস্তা এক্সপ্রেস গফরগাঁও স্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড় করিয়ে দুই নম্বর লাইন দিয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল সচল রাখে। পরে ময়মনসিংহ থেকে বিকল্প ইঞ্জিন এনে ১টা ৪০ মিনিটের দিকে গফরগাঁও স্টেশন থেকে তিস্তা এক্সপ্রেস ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

তিস্তার ট্রেন যাত্রী আলমগীর হোসেন বলেন, ঢাকা ময়মনসিংহ রেলপথে জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত শুধু তিস্তায় নয় অগ্নিবিনা এক্সপ্রেস, মহুয়া এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস ও বলাকা এক্সপ্রেস ট্রেন গুলো গত ছয় মাস ধরেই মাঝে মধ্যে বিভিন্ন স্টেশনের বাইরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে করে আমাদের মত সাধারণ যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রেনের জন্য গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী ঢাকা ময়মনসিংহ রেলপথে ভালো ইঞ্জিন দেওয়া হোক।

এ ব্যাপারে গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার সেলিম আল হারুন আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই রেলপথে ইঞ্জিনের সমস্যা হচ্ছে। এতে করে আমাদেরও যাত্রীদের বিভিন্ন কটুক্তি শুনতে হয়।