ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই)।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে আয়োজিত এক সমাবেশে দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম এ দাবি জানিয়েছেন।
এসময় তারা সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাংক এবং নাইটেঙ্গেল মোড় হয়ে আবারও বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম অন্তবর্তীকালিন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি আপনি বৈষম্যতা রক্ষা না করেন, সবাইকে সমান অধিকার না দেন, তাহলে আপনার বিরুদ্ধেও এই জাতি আবার ফুঁসে উঠবে। যে দাবিকে সামনে রেখে মানুষ রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, সেই দাবি বাস্তবায়ন হোক। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হোক। এই দেশ ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি লাভ করুক।
যারা অন্যায় এবং জুলুম করেছে, তাদের বিচার হোক। যারা নির্দোষ তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হোক। কিছু নির্দোষ আলেম এখনো জেলে বন্দী রয়েছে। তাদেরকে তদন্তের ভিত্তিতে তাদেরকে মুক্ত করতে হবে।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের দেওয়া বক্তব্যকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আজকে জয়কে দেখলাম, এদেশের সংবিধান রক্ষা করার জন্য সে ভারতকে আহবান করেছে। যে ভারত আপনাদেরকে (আ.লীগ) রক্ষা করতে পারেনি, সেই ভারত আমাদের দেশের সংবিধান কিভাবে সংশোধন করবে? আমাদের দেশের সংবিধান সংশোধন করার জন্য আমরা অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপ চাইনা। এদেশের সমস্যার সমাধান এদেশের জনগণই করবে। যদি কেউ বিদেশিদেরকে আহ্বান করে, তাহলে আমরা মনে করবো তারা দেশদ্রোহী। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, মন্দিরে আগুন, ভাঙচুর ও নির্যাতনের প্রতিবাদে আজকে হিন্দু সম্প্রদায় মিছিল মিটিং করতেছে। আমি বলবো- কোনো মন্দিরে এবং কোনো ব্যক্তিকে আক্রমণ করা হয়নি। বরং এদেশের ৯৯ শতাংশ হিন্দু আওয়ামী লীগ করে। তারাতো আওয়ামী লীগের লোক। আওয়ামী লীগের হাজারো মুসলমানের উপরে আক্রমণ করা হলে সেটা যদি সম্প্রদায়িক না হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের কারণে হিন্দুদের উপরে আক্রমণ করা হলে সেটা সম্প্রদায়িক হবে কেন? আজকে হিন্দু সম্প্রদায়কে সামনে নামিয়ে দেশকে আবারো ধ্বংস করার নীল নকশা তৈরি কর হচ্ছে।
এসময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কে. এম. আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ডাক্তার শহীদুল ইসলাম, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেছার উদ্দিন, যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমেদ সাকী, কেন্দ্রীয় প্রচার বিষয়ক সম্পাদক আহমাদ আব্দুল কাইয়ূম, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইউসুফসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত