খালেদা জিয়ার মুক্তি ইস্যুতে আপস নয়: বিএনপি

নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। এই আন্দোলনে সফল হতে গেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলীয় ঐক্য, সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে একই প্লাটফর্মে আনার পাশাপাশি রাজনৈতিক কূটনৈতিক তৎপরতাও বৃদ্ধি করতে হবে।

গুলশান কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে অংশ নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কথা বলেন। সাংগঠনিক বিভাগ ঢাকা ও ফরিদপুরের কেন্দ্রীয় সদস্য, জেলা এবং মহানগরের সভাপতিরা এ বৈঠকে অংশ নেন।

এদিন বিকেল পৌনে ৪টা থেকে এই বৈঠক শুরু হয়। এতে স্কাইপিতে সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মূলমঞ্চে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

গতকাল দ্বিতীয় দফার প্রথম দিনে মোট ১২৬ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৭৮ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে ছিলেন- নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ আবু জাফর, বাবুল আহমেদ, হাবিবুর রশিদ হাবিব, মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জু, ওবায়দুল হক নাসির, শেখ রবিউল ইসলাম রবি, আব্দুল মতিন, পেয়ারা মোস্তাফা, নিপুণ রায় চৌধুরী, ফেরদৌস আহমদ খোকন, কাজী মনির, আশফাক আহমেদ, আকরামুল হাসান, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসমিন আরা হক, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, মোদাসসের আলী ইসা, মজিবুর রহমান, সাঈদ সোহরাব, তমিজউদদীন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, দিপু ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান সুরুজ, রোকসানা খানম মিতু, রেজা আলিম প্রমুখ। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। বৈঠকে সার্বিক সহযোগিতা করেন দলের দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন, বেলাল আহমেদ ও সহতথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন নসু। আজ চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতিদের সাথে বৈঠক হবে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনের পক্ষেই মত দিয়েছেন বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতিরা। তবে রাজপথে নামার আগে দলে শৃঙ্খলা ফেরানোর ওপর জোর দিয়েছেন। তারা আরও বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া বর্তমান সরকারকে হটানো সম্ভব নয়। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রতিটি ইউনিটে যাতে শৃঙ্খলা থাকে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।