ঠাকুরগাঁওয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর তালিকা থেকে সহশ্রাধ্রিক ব্যক্তির নাম বাতিলের অভিযোগে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা লাগিয়েছে বঞ্চিতরা।
এছাড়া রোববার জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বঞ্চিতরা বিক্ষোভ করে। পরে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরেজমিনে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডের সহশ্রাধ্রিক খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্ড নিয়ম না মেনে বাতিল করে দেয় চেয়ারম্যান।
বঞ্চিতরা গতকাল রোববার ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে চাল আনতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলাল মাস্টার তাদেরকে কার্ড বাতিলের কথা বলে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে বঞ্চিতরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল জানান, নিয়মনীতি না মেনে গোপনে চেয়ারম্যান ও কয়েকজন মেম্বার যোগসাজস করে প্রায় ৭/৮শ কার্ড বাতিল করেছেন। তারা নতুন ব্যক্তিদের কাছে ১ থেকে দেড় হাজার করে টাকা নিয়ে এ কার্ড দিয়েছেন।
জগন্নাথপুর সিংগিয়া গ্রামের কার্ড বঞ্চিত জয়ন্ত ঘোষ জানান, গতকাল কার্ড নিয়ে চাল আনতে আসার পর চেয়ারম্যান জানায় আমাদের কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এ কার্ডটি যখন করে দেয় তখন স্থানীয় মহিলা মেম্বার মালেকা বেগমকে ৫শ টাকা দিয়ে কার্ডটি গ্রহন করতে হয়েছিল।
বিক্ষোভকারী মনোয়ারা বেগম, রিনি বালা, মরিয়ম বেগম, ফাতেমা বেগম, তহুরা খাতুন একই সূরে বলেন, আমরা গরীব ও অসহায় মানুষ। ১০ কেজি করে চাল নিয়ে আমাদের সংসার চলতো। কিন্তু অনিয়মতান্ত্রিকভাবে এভাবে কার্ড বাতিলের কারণে আমরা খুবই সমস্যায় ভুগবো।
প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলাম কার্ড বাতিলের কথা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলাল মাস্টার বলেন, নিয়ম মেনেই কিছু মানুষের নাম বাতিল করা হয়েছে। একই বাড়িতে যারা প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা ভাতা পান এ জাতীয় পরিবারের একজন লোকের নামের কার্ড বাতিল করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা পরিষদে গিয়ে বাতিলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেছি। নিয়ম-নীতি মানা হয়নি। রেজুলেশনেও ভুল পাওয়া গেছে। এ কারণে আগের তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদেরকেই চাল দেওয়া হবে।