কুষ্টিয়ায় পদ্মা থেকে অবৈধভাবে বালু তোলায় তীব্র ভাঙন

22

কুষ্টিয়ায় অসময়ে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে পদ্মা। মিরপুরের বহলবাড়িয়া ও সাহেবনগরের ৯ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র ভাঙন চলছে। ঝুঁকিতে পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কসহ নানা স্থাপনা। হঠাৎ ভাঙনের জন্য অবৈধ বালু ব্যবসাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কুষ্টিয়ার মিরপুর, দৌলতপুর ও কুমারখালীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ভাঙনে ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে কয়েকশ’ একর ফসলী জমি। এখনও ঝুঁকিতে রয়েছে এসব এলাকার শত শত বসত ভিটা। এমনকি কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের কয়েকশ ফুটের কাছাকাছি চলে এসেছে আগ্রাসী পদ্মা।

এলাকাবাসী জানান, এর মধ্যে কয়েকবার ভেঙেছে পদ্মা। তাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আবাদী জমির ফসলও নিয়ে গেছে পদ্মা। একটা ভূমিদস্যু বাহিনী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য ভাঙনের শিকার হয়ে বসতবাড়ি হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় তারা প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. ইফতেখার মাহামুদ বলেন, নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করায় তলদেশ নিম্নগামী হওয়ায় ভাঙন বাড়ছে। এর ফলে বিস্তীর্ন এলাকার জমি ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

কুষ্টিয়ার মিরপুরের সাহেবনগর নদী ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ রাজীব বলেন, নদী ভাঙন বন্ধে যদি অতি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে এই চার ইউনিয়নের জনগণকে রাস্তায় থাকা লাগবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী বলছেন, নদী ভাঙন রোধ ও মহাসড়ক রক্ষায় একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কোনো কারণে যদি প্রকল্প অনুমোদন না হয়, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।