কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
কোতয়ালি থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম জানিয়েছেন, শহরের চাঁনপুর রত্নাবতী গোমতি বেড়িবাঁধে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
শাহ আলম (২৮) সুজানগর বউ বাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে। সোহেল ও হরিপদকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামির তালিকায় তার নাম ছিল ১ নম্বরে।
আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘কয়েকজন অস্ত্রধারী’ গোমতী বেড়িবাঁধে অবস্থান করছে খবর পেয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল রাতে সেখানে অভিযানে যায়।
‘পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে একজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে শাহ আলম বলে শনাক্ত করেন। গুলিবিদ্ধ শাহ আলমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
গোয়েন্দা পুলিশের এসআই পরিমল দাস বলছেন, এ অভিযানে পুলিশের দুজন সদস্যও আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার রাতের গোলাগুলির ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
ওই মামলার বাদী সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমনের দাবি করেন, গুলিবিদ্ধ হরিপদ সাহাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি শাহ আলমকে ‘চিনতে পারার কথা’ বলে গেছেন। মাদক চোরাকারবারসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও মামলা রয়েছে শাহ আলমের নামে।
এর আগে এ মামলার আসামি সাব্বির হোসেন (২৮) ও সাজন (৩২) গত ২৯ নভেম্বর রাতে শহরের সংরাইশ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
গত ২২ নভেম্বর বিকালে কুমিল্লা শহরের পাথুরিয়াপাড়ায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের সিমেন্টের দোকান থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। সেখানে থাকা সোহেল এবং তার সহযোগী ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহাকে তারা গুলি করে হত্যা করে। খুনিদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন আরও চারজন।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল ২০১২ ও ২০১৭ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।
পরদিন সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সেখানে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত