কাউকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব কমিশনের নয়: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কাউকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব ইসির নয়। তারপরও আমরাও আমাদের নৈতিক অবস্থান থেকে বহুবার (বিএনপি ও অন্যান্য দলকে) আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা এর বেশি আর কী করতে পারি?

তিনি বলেন, নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন মাথা ঘামাবে না, তবে প্রক্রিয়াটি আইনগতভাবে সঠিক কিনা তা নিয়ে সতর্ক থাকবে। যদি এক শতাংশ ভোট দেওয়া হয় এবং ৯৯ শতাংশ ভোট না দেওয়া হয়, তবে তা আইনত বৈধ। সেক্ষেত্রে বৈধতার বিষয়টি ভিন্ন হতে পারে। বৈধতার প্রশ্ন উঠতে পারে, তবে বৈধতার প্রশ্ন উঠবে না।

বুধবার (৪ অক্টোবর) নগরীর আগারগাঁও এলাকার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ‘নিরবিচ্ছিন্ন ভোটাধিকার: প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় সিইসি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন,‘রাজনৈতিক দলগুলো এটা নিয়ে (নির্বাচনের বৈধতা) লড়াই করবে। নির্বাচন কমিশন এটা নিয়ে লড়াই করবে না। আমরা দেখব ভোট অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয় কি না।’

নির্বাচন কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিত করা ইসির দায়িত্ব উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ নির্বাচন এবং ‘অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনের অর্থ নিয়ে তিনি কিছুটা সন্দিহান।

তিনি আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক মানে যেমন আমি বুঝতে পারি, যদি বিপুল সংখ্যক ভোটার আসে এবং ভোট দেয়। কে আসে বা না আসে তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাব না। যদি প্রকৃত ভোটার ৭০ শতাংশ হয় এবং তারপরে এটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়, তবে আমাদের কেবল সামান্য রেফারির ভূমিকা থাকবে।’

নির্বাচনের আগে পোলিং এজেন্টদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় তাদের গ্রেপ্তার না করতে ইসি সরকারকে বারবার অনুরোধ করবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার সরকারকে বলবো, তাদের গ্রেপ্তার করতে হলে নির্বাচনের ছয় মাস আগে করুন, আর তা না হলে নির্বাচনের পরে করতে হবে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত নয়।’

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ ও কবিতা খানম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও এসএম শামীম রেজা, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

এছাড়া কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনার, বর্তমান ও সাবেক ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।