নাব্য সংকটের কারণে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে ১০ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর শুক্রবার বিকেল থেকে পরীক্ষামূলক ৩টি ফেরি চলাচল শুরু করলেও শনিবার সকাল থেকে ৫টি ফেরি দিয়ে চলছে যান পারাপর। তবে এই রুটে ফেরি চলাচল এখনও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানায়, শনিবার কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাট থেকে দুটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এছাড়া আরও ৩টি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসার পর লৌহজং চ্যানেল মুখে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে যায়। পরে সাড়ে ১০টার সময় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। বর্তমানে ক্যামেলিয়া, কাকলি, কিশোরী, কুমিল্লা ও ফরিদপুর এই ৫টি ফেরি চলাচল করছে। তবে পদ্মায় নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গেছে, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে বিআইডব্লিউটিএর খননকৃত সকল চ্যানেল গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যায় নাব্য সংকট ও ডুবোচরের কারণে। এর আগে দুর্ঘটনা এড়াতে এরুটে ওইদিন সন্ধ্যার পর ফেরি বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে উভয় ঘাটে কয়েকশ যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকে দীর্ঘদিন। এই অবস্থার কারণে যাত্রীবাহী যানবাহনের সংখ্যাও কমে যায় এই রুটে। এতে করে একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে দুর্ভোগ বেড়েছে যাত্রীদের।
তবে শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল শুরু করে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামক ফেরিটি কাঁঠালবাড়ী ঘাটে পৌঁছায়। এর আগে ফেরিটি এই রুটে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে আটকে যায়। আধাঘণ্টা পর ফেরিটি উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেরি ক্যামেলিয়া সফলভাবে পার হয়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিএর (ড্রেজিং বিভাগ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই শিমুলীয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত ও নাব্য সংকট দেখা দেয়। গত কয়েকদিন ধরে পানি কমায় নৌ চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে জেগে উঠছে ডুবচর। ফলে আগেই বন্ধ হয়ে যায় ফেরি চলাচল। ১০ দিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার বিকেল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল শুরু করেছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত