কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ঠাকুরগাঁওয়ের শিল্প কলকারখানা গুলোতে

11

লকডাউন শিথিল হওয়ার পর থেকে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বিসিক শিল্পনগরীর কারখানা গুলোতে । ফলে দীর্ঘ সময়ে অভাব অনটনে থাকা শ্রমিকদেও মুখে ফুটেছে স্বস্থির হাসি। আর সংশ্লিস্টরা বলছেন সবাইকে করোনা টিকার আওতায় আনা হলে কোন ধরনের সমস্যা ছাড়া স্বাভাবিকভাবেই কারখানা চালু রাখা সম্ভব।

করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ জারি থাকায় দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রাখা হয় জেলার বিসিক শিল্পনগরীর কলকারখানা গুলো । এতে বেকার হয়ে পরে হাজারো শ্রমিক। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর ধীরে ধীরে ব্যবসায়ী এসব প্রতিষ্ঠান গুলো খুললে কর্মস্থলে আবারো যোগ দিয়েছে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পায় অভাব অনটনে দিনযাপন করা শ্রমিকরা।

ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্পনগরীতে গড়ে উঠা সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান রাজ্জাক গ্রুপের গ্লোল্ডেন ফাইবার ইন্ডাট্রিজ নামের জুটমিল। এছাড়া আটা ,ময়দা, সুজি, সাবান ও প্লাস্ট্রিকের কয়েকটি কারখানা ছাড়া গড়ে উঠেনি তেমন কোন বড় কলকারখানা।

করোনার বিধিনিষেধ শিথিলতার পর বর্তমানে এই জুটমিলে তিন ভাগে প্রায় ৬’শ শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। এ থেকে দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে পাটের তৈরি ৫ হাজার পিচ সুতার রোল ও ৫ হাজার পিচ বস্তা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব উৎপাদিত সুতা ও বস্তা পাঠানো হচ্ছে দেশের অন্যান্য জেলায়। চালু হওয়ার পর জুটমিলে কাজ ফিরে পেয়ে এখন অনেকটাই খুশি শ্রমিকরা। তবে করোনা টিকা প্রদান অব্যাহত থাকলে কলকারখানা খোলা রাখা সম্ভব বলে জানান কারখানার মালিকরা।

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সাল থেকে ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্পনগরীর ১৫ এশর জমিতে গড়ে উঠে ছোট-বড় ৫১টি প্রতিষ্ঠান। এর বিপরীতে বর্তমানে জুট মিলেই ছয়’শ আর বাকি প্রতিষ্ঠান গুলো সহ মোট ১৫৩৫ জন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করছে।

কারখানার শ্রমিকরা জানান, এতদিন কারখানা বন্ধ থাকায় আমাদের খুব খারাপ অবস্থায় দীর্ঘদিন কাটাতে হয়েছে। এখন কারখানা খুলেছে, নিয়মিত বেতন পাচ্ছি, সংসারও চলছে ভালোভাবে ।

ঠাকুরগাঁও গ্লোল্ডেন ফাইবার ইন্ডাট্রিজ এর জেনারেল ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম বলেন, বিধি নিষেধ শিথিলের পর প্রতিষ্ঠান খুলে নতুন করে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে করোনায় অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে আমাদেরকে। লকডাউনে যেসব কলকারখানা বন্ধ ছিল তাদের নেয়া ঋণের সুদ মওকুফ করা হলে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়বে।

ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাট্রিজ এর সভাপতি ও রাজ্জাক গ্রুপের স্বত্তাধিকারী হাবিবুর ইসলাম বাবলু বলেন, করোনা চলাকালিন সময় আমরা কোন শ্রমিক ছাটাই করি নাই। এছাড়াও অনেক শ্রমিককে আমরা সহযোগীতা করেছি। এখন আমাদের কারখানা চালু হয়েছে। তাই এসব কল কারখানার যে ব্যাংক লোন এর ইন্টেরেস্ট রয়েছে সেগুলো মওকুফ করলে আমাদের ক্ষতি কম হবে।

ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্পনগরীর উপ-ব্যবস্থাপক নুরল হক বলেন, সরকারের পক্ষ হতে কলকারখানা গুলোকে ক্ষতি পুরণ দেওয়া হচ্ছে। বিসিক এর সকল কারখানা নিয়মমত, মাক্স ও জীবানু নাশক স্প্রে করে খোলা হয়েছে।