নারীর ক্ষমতায়নে ও নারীর র্আথিক স্বচ্ছলতার জন্য বাংলাদেশের শহর ও গ্রামগঞ্জে গড়ে উঠেছে হাজার বিউটি পার্লার। এসব র্পালারে কাজ করার সুযোগ পেত সমাজের বেকার মেয়েরা। নারী উদ্যোক্তা হওয়ার কারণে বেশির ভাগ র্পালারই ছোট ও মাঝারি ধরনের। বড় ধরনের পার্লার রয়েছে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি।কিন্তু করোনা ভাইরাসের জন্য এসব বিউটিপার্লার গুলির এখন খুবই শোচনীয় অবস্থা। মার্চের ২০ তারিখ থেকে অদ্যবধী এ যাবত বন্ধ রয়েছে পার্লারগুলো। এতে র্আথিক সংকটে পড়েছে এই শিল্পের সাথে জড়িতরা।
পার্লারের মালিক আর সহকারিরা এই ব্যবসার উপার্জিত অর্থে তাদের সংসার চালিয়ে যেতেন। সংসারের খরচে পুরুষদের পাশাপাশি র্পালার র্কমীরাও সহযোগিতার অংশ থাকতো। কিন্তু করোনার কারণে র্বতমানে বিয়ে সহ সামাজিক বিভিন্ন অনুস্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। এপ্রিলের ১২ তারিখ ছিল খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব ইস্টার সানডে আর ১৪ তারিখ পহেলা বৈশাখ, এই দুটি বড় অনুষ্ঠানকে ঘিরে পার্লারের বেশ কিছু রোজগার হতো কিন্তু এবার করোনাভাইরাসে জন্য সবকিছু বন্ধ হয়ে আছে। কিছুদিন পরে রমজানের ঈদ। সামনে কি হবে তারা নিজেরাও বলতে পারছে না।
বিউটি পার্লারের সাথে জড়িত আছে অনেক দরিদ্র ও অসহায় বিধবা নারী যাদের একমাত্র অবলম্বন এই বিউটি পার্লার। এই একটা মাত্র সম্বল অবলম্বন করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। বাংলাদেশের হাজারও নারী আছে যারা এই বিউটি পার্লার নিয়েই বেঁচে আছে। বর্তমানে এই মহামারী ভাইরাস তাদের জীবন উপার্জনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। তারাও সারা বাংলাদেশের মানুষের মতো আতঙ্কিত এবং হতাশা গ্ৰস্থ।
এমতাবস্থায় ছোট এবং মাঝারি পার্লার মালিকরা অভাবের মধ্যে দিন যাপন করছে। এতদিনের এই ক্ষতি কিভাবে তারা পুষিয়ে নেবে এই চিন্তায় এখন হিমশিম খাচ্ছে। মাস শেষে দোকান ভাড়ার চিন্তা, র্কমচারিদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, ভ্যাট, পানির বিল পরিশোধের চিন্তায় হতাশাগ্রস্থ্ তারা।
ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের অপরূপা পার্লারের স্বত্ত্বাধিকারী সুমি আক্তার জানান,দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় উপার্জন হীন হয়ে পড়েছি। নিজের পরিবারের খরচ যোগান দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে তদুপরি ৪/৫ জন জন কর্মচারির বেতন ও ঘর ভাড়া নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। এদিকে সরকার কতৃক ত্রাণ বিতরণ হলেও নানা কারণে আমাদের পাওয়া কঠিন। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই নারী সমাজের উন্নয়নে এবং বিউটি পার্লার শিল্প বাঁচানোর জন্য সহযোগিতা কামনা করেছি।
দিনাজপুর জেলার সম্পূর্ণা বিউটি পার্লারের স্বত্ত্বাধিকারী জেনিফা নওরিন জানান, এই শিল্পটি এখন ধংসের মুখে সেই সাথে উদ্যোক্তারা বিরাট ক্ষতির সম্মুখিন। বিভিন্ন ক্ষাতে যখন প্রণোদনার ব্যবস্থা করছে সরকার তখন এই শিল্পটিতেও যেন প্রণাদনা দেয়া হয়।