করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটির নামে দেশে বলতে গেলে লকডাউন চলছে। করোনা প্রতিরোধে চীনসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ এতে ভালো ফলাফলও পেয়েছে। তবে বাংলাদেশ কৌশলগত কারণে এর নাম দিয়েছে সাধারণ ছুটি। এবার ঢাকাকে মূলত লকডাউনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি দেওয়া হয়েছিল যার যার অবস্থানে ঘরে থাকার জন্য। কিন্তু ছুটির পর সেটা মানা হয়নি। আবার রোববার থেকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী খোলার ঘোষণায় সড়ক, মহাসড়ক ও ফেরিতে দেখা গেছে মানুষের ঢল।
ব্যক্তিগত ও সামাজিক দূরত্ব নীতি লঙ্ঘন হওয়ায় এ নিয়ে সমালোচনার মুখে জরুরি সেবার সঙ্গে নিয়োজিতরা ছাড়া রাজধানী কেন্দ্রিক সাধারণ মানুষের প্রবেশ এবং বের হওয়া বন্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোহেল রানা বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যে ঢাকার বাইরে থেকে ছুটে আসা শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ যেন ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে আইজিপির নির্দেশ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সব ধরনের মুভমেন্ট বন্ধ আছে। কেউ ঢাকার বাইরে যেতে পারবেন না, ঢাকায় ঢুকতে পারবেন না। যে যেখানে আছেন, সেখানে অবস্থান করবেন, কোথাও সমবেত হতে পারবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।
তবে একান্ত জরুরি প্রয়োজন থাকলে তার বা তাদের বিষয়টি শিথিলযোগ্য হতে পারে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
অন্যদিকে সমালোচনার মুখে শনিবার রাতে সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটি পর্যন্ত গার্মেন্টস কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মালিকদের প্রতি আহ্বান জানায়।
করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত দেশে মোট ৮৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৩ জন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এর পর ১৮ মার্চ কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় আইইডিসিআর।