ওসি প্রদীপের অবৈধ সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রামের আদালত। একই আদালত তার অবৈধ সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে।

রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আশফাকুর রহমানের আদালতে শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে এই আদেশ দেন। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুদকের মামলায় প্রদীপকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

দুদকের আইনজীবি সানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, দুদকের পক্ষে আমরা তার অবৈধ সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেছি। আদালত তার অবৈধ সম্পদ ক্রোকের অনুমতি দিয়েছেন।’ ওই আদেশে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রীর অবৈধভাবে অর্জিত ৪ কোটি ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয় বলে জানান, দুদকের আইনজীবী।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলায় আটক ও বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছিল দুদকের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন। মামলা নম্বর ১১। এর মধ্যে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকা ওসি প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে দুদক অভিযোগ এনেছে।

মামলায় প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ দমন আইন- ২০১২ এর ৪(২), ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

দুদকের আইনজীবী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, কারাগারে থাকা টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের পক্ষের আইনজীবীরা গত ১৪ সেপ্টেম্বর জামিন চেয়ে আদালতের কাছে একটি আবেদন করেন। আজ রোববার সেটির উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। একপর্যায়ে আদালত তার জামিন প্রার্থনা নাকচ করে দেন এবং কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর সারোয়াতলী গ্রামের মৃত হরেন্দ্র লাল দাশের ছেলে। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা আর সি চার্চ রোডে তাদের নিজস্ব একটি আবাসিক ভবন আছে। সেই ভবনে তার স্ত্রী চুমকি সন্তানদের নিয়ে থাকতেন।