একজন মানুষ পুরো জীবনে প্রায় ১৬.৫ গ্যালন অশ্রু ঝরায়! আবেগে কেঁদে ফেলে অনেকেই অনুশোচনায় ভুগলেও গবেষকরা বলছেন আবেগের বশবর্তী হয়ে কাঁদার আছে একটি ভাল দিক।
গবেষকদের মতে কান্নায় বাড়তি ওজন কমে। তবে, কাঁদলে ওজন কমে তাই পেয়াজ কেটে চোখের পানি ফেললে হবে না। আবেগের কান্না হতে হবে। অর্থাৎ যদি প্রেমের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়, তাহলে প্রাক্তনের জন্য মন খারাপ করে যেই কান্না পায়, সেই কান্নায় ওজন কমে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
বায়ো কেমিস্ট ড. উইলিয়াম এইচ ফ্রে এর নেতৃত্বে করা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট পল-রামসে মেডিকেল সেন্টারের গবেষণাটিতে বলা হয়েছে মানসিক চাপ তৈরি হলে কিছু হরমোনের কারণে কর্টিসল লেভেল বেড়ে যায়। কর্টিসল বেড়ে গেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
কারণ, আবেগকে দমিয়ে রাখলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এছাড়াও কর্টিসল বেড়ে গেলে শরীরে বাড়তি চর্বি জমা হয়। কিন্তু আবেগকে দমিয়ে না রেখে যখন কেউ কেঁদে ফেলে, তখন চোখের পানির মাধ্যমে সেই হরমোনগুলো শরীর থেকে বের হয়ে যায় এবং কর্টিসল লেভেলও কমে যায়। ফলে মস্তিষ্ক থেকে শরীরে সিগন্যাল যায় যে মানসিক চাপ কমে গেছে। তখন শরীর আর বাড়তি চর্বি জমা করে রাখে না। এমনকি কয়েক কিলো ওজন কমতেও পারে।
তাই গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন, আবেগ দমন না করে কেঁদে ফেলাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তারা আরও জানিয়েছেন যে এই কান্না সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে হলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
তাই যারা পুরোনো সম্পর্কটাকে শেষ করে নিজেকে নতুন ভাবে গড়ে তুলতে চান, তাদের জন্য কাঁদার বিকল্প নেই বলে মনে করেন গবেষকরা।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত