ভ্রমণের সময় ব্যয়ের অধিকাংশ চলে যায় এয়ার টিকিটে। অন্য ব্যয়ের তুলনায় এয়ার টিকিটে খরচ হয় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। কম সময়ে আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য অনেকেই আকাশপথ বেছে নেন। আজ আপনাকে জানাবো কম খরচে এয়ার টিকেট সংগ্রহের কয়েকটি টিপস-
অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ
ফ্লাইট ছাড়ার কমপক্ষে তিন সপ্তাহ আগে এয়ার টিকিট সংগ্রহ করুন। যত আগে টিকিট সংগ্রহ করবেন তত কম দামে টিকিট পাবেন।আগেভাগে টিকিট বুকিং দিলে নিজের পছন্দ মতো আসন পাওয়া যায়। এছাড়া আপনি যদি গুগল ফ্লাইট বা কায়াকের মতো ট্র্যাভেল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করেন, তাহলে সেসব সার্চ ইঞ্জিন থেকে অল্প সময়ের মধ্যে টিকিট বুকিংয়ের খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তবে এসব সার্চ ইঞ্জিনে দেখানো তথ্য সবসময় যে সঠিক হয় তা ঠিক নয়।
প্রাইস অ্যালার্ট সেট
আগে ভাগে টিকিট বুকিং দেয়ার জন্য তাড়াহুড়া করার প্রয়োজন নেই। আপনি যদি টিকিট বুকিংয়ের জন্য আজই তৈরি না থাকেন তাহলে প্রাইস অ্যালার্ট সেট করে রাখতে পারেন। এর মধ্য দিয়ে অ্যালার্টটি আপনাকে টিকিট বুকিংয়ের সময় নোটিফিকেশন দেবে। গুগল ফ্লাইটের মাধ্যমে গ্র্যাফ ফরম্যাটে ফ্লাইট ট্রেন্ডগুলো দেখা যায়।
সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা
স্বল্প মূল্যে টিকিট বুকিংয়ের আরও একটি উপায় হলো সুবিন্যস্ত উপায়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা। মাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে কিংবা বিশেষ দিনগুলোতে যেমন- ঈদ, বড়দিনসহ অন্যান্য উৎসবের দিনগুলোতে কম খরচে টিকিট পাওয়া যায়। কারণ এসব দিনে আকাশপথে মানুষজন কম ভ্রমণ করেন।
কানেকটিং ফ্লাইট
দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়া না থাকলে কানেকটিং ফ্লাইট বুকিং করুন। এ সম্পর্কিত সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে এবিষয়ে ফিল্টার করা যায়। যা আপনাকে স্বল্প ব্যয়ে ভ্রমণ করতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে নগদ অর্থের সাশ্রয় হয়। কানেকটিং ফ্লাইটকে ‘ট্র্যানজিট ফ্লাইটও’ বলা হয়।
ডিসকাউন্ট দেখে বুকিং
বছরজুড়ে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের নানারকম ডিসকাউন্টের অফার থাকে। সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট গুলো থেকে ডিসকাউন্ট কুপন দিয়ে কম খরচে এয়ার টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার
এয়ার টিকিটের জন্য বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ডের নিয়মিত অফার থাকে। এজন্য এসএমএস, ই-মেইল বা এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।