ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তার অবস্থান নিয়ে নানা গুঞ্জন চলে আসছিল। এবার তার অবস্থান জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দিল্লির ইন্ডিয়া গেট এবং খান মার্কেটের খুব কাছেই একটি বাংলোতে বাস করছেন শেখ হাসিনা। দ্য প্রিন্টের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যমে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির একটি সেফ হাউসে দুই মাসের বেশি সময় পার করেছেন শেখ হাসিনা।
দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, নয়াদিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জোনে একটি সেফ হাউসে বসবাস করছেন তিনি। সেখানে তার জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত একটি বাংলো শেখ হাসিনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার্থে সঠিক ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দেশটির কর্মকর্তারা জানান, হিন্ডন থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকে দিল্লির লুটিয়েন্স এলাকায় বসবাস করছেন তিনি। এর আগে গত মাসে ফিনান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ভারতের লোদি গার্ডেনে দেখা গিয়েছে।
কর্মকতারা জানান, শেখ হাসিনার নতুন বাসভবনটি একটি গোয়েন্দা সংস্থার সেফ হাউজ ছিল। তবে তারা তার মৃত্যুঝুঁকির জন্য তার ঠিকানা প্রকাশ করেননি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
সেফ হাউজের ভেতরে ও বাইরে নিরাপত্তায় ঘেরা রয়েছে। দিল্লিতে থাকা এমন সুবিধা সম্বলিত তিনটির একটিতে তিনি রয়েছেন। এর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারা। এছাড়া বাংলোর চারপাশে দিল্লি পুলিশের কমান্ডো ইউনিটের ‘পর্যবেক্ষক এবং স্পটার’ মোতায়েন রয়েছে। তারা বাংলোতে সন্দেহজনক কার্যকলাপের উপস্থিতি এবং মানুষের উপর নজরদারি করেন।
দ্বিতীয় আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, হিন্ডন ঘাঁটি থেকে তাকে সরিয়ে নেওয়ার সময় কয়েকদিনের জন্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সঙ্গে একজন এসআইকে সংযুক্ত করা হয়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, ওই এসআইকে খুব স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গোপন অপারেশন এবং সেফ হাউসের ঠিকানা সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত এবং পেশাদার কোনোকিছু না জানানোর জন্য। এমনকি দিল্লি পুলিশ প্রধান বা তার তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তাদের কেউ জিজ্ঞাসা করলেও সেটি প্রকাশ না করার জন্য বলা হয়েছিল। তবে আইবি ও অন্য সংস্থা তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত