একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু

12

একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে কলেজ পাবেন আবেদনকারীরা।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) থেকে ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে। দুই মাস ধরে ভর্তি কার্যক্রম শেষে ২ মার্চ থেকে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আবেদনে শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করবে। ভর্তির জন্য তিন ধাপে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। একাদশে ভর্তি হতে www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চিত করতে হবে। সিলেকশন নিশ্চিত না করলে তাদেরকে পুনরায় ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে। ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেওয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। ১১-১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চিত করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চিত করতে হবে।

যারা আবেদন করতে পারবেন: ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যারা এসএসসি পাস করেছেন, তারা আবেদন করতে পারবেন। তবে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা ২২ বছর বয়সেও আবেদন করতে পারবেন। যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি ও দাখিলের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করবেন, তারা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করলেও ফল পরিবর্তনকারীরা ২২ ও ২৩ জানুয়ারি আবেদন করতে পারবেন। ২৪ জানুয়ারি পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে। ২৯ জানুয়ারি প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে।

অন্যদিকে, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতেও ৮ জানুয়ারি থেকে আবেদন নেওয়া হতে পারে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ভর্তি নীতিমালাসহ এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

আবেদন ও ভর্তি ফি: আবেদন ও নির্বাচন পর্ব শেষে ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। এবার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। নীতিমালায় ঢাকা ও জেলা পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফিসহ সব ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ৫ হাজার টাকা, ঢাকা মহানগরের বাইরে ৩ হাজার, জেলা পর্যায়ে ২ হাজার আর উপজেলা ও মফস্বলে ১ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা যাবে। নির্ধারিত ফির বেশি অর্থ আদায় করা যাবে না। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নেওয়া যাবে। উন্নয়ন ফি আদায় করা যাবে না।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া হয় সারা দেশে এমন কলেজ ও মাদ্রাসা আছে ৮ হাজার ৮৬৪টি। অন্যদিকে, সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে ৫৫০। কলেজ ও মাদ্রাসায় আসন আছে ২৪ লাখ ৪০ হাজার ২৪৯টি। পলিটেকনিকে আছে ১ লাখ ৬৯ হাজার আসন। সবমিলিয়ে এ স্তরে আসন ২৬ লাখ ৯ হাজার ২৪৯টি। এর বিপরীত এসএসসি, দাখিল এবং সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছেন ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন। তাদের মধ্যে এসএসসিতে ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ২১১ জন, দাখিলে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭২২ জন এবং কারিগরি শাখা থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৩ জন পাস করেছেন।

এবার প্রায় ২১ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছেন। এতো বিপুল শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত আসন আছে কি না, এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। তবে কলেজ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সব শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পরও প্রায় ৫ লাখ আসন খালি থাকবে।