‘একজন মহান পিতা’ চলচ্চিত্রে অ্যাওয়ার্ড পেল শিশুশিল্পী রাসেল

8

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘একজন মহান পিতা’ এর জন্য সেরা অভিনেতার পুরষ্কার পেয়েছে শিশু শিল্পী রাসেল। তার সঙ্গে একই ছবিতে অভিনয় করা অন্য অভিনীত শিল্পীরাও পেয়েছেন অ্যাওয়ার্ড।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলম মাল্টিমিডিয়া ও বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী-২০২১ অনুষ্ঠানে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর নির্মিত হয় এই চলচ্চিত্রটি। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতাত্তোর স্বদেশ পুনর্গঠনের প্রাক্কালে নিপীড়িত বীরাঙ্গনা মা-বোনদেরকে তাদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে গেলে তারা প্রত্যাখ্যান করে। এমনকি পারিবারিক পরিচয় দিতেও দ্বিধা করে। তখন তাদের পাশে দাঁড়ান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন ‘নির্যাতিতা সব নারীই আমার মেয়ে। ওদের পিতার নামের জায়গায় লিখো শেখ মুজিবুর রহমান, আর ঠিকানা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি।’ ইতিহাসের এমনই এক কালজয়ী অধ্যায় নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘একজন মহান পিতা।’

বরেণ্য নির্মাতা মির্জা সাখাওয়াত হোসেনের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় এ চলচ্চিত্রে আরও উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন শিল্প সংস্কৃতি বিরোধীদের নৃশংসতার চিত্র। ব্যতিক্রমী তথ্য সেলুলয়েডে ধারণের কারণেই ‘একজন মহান পিতা’ চলচ্চিত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধের এক অমর দলিল হয়ে উঠেছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ‘একজন মহান পিতা’ চলচ্চিত্রে বিল্টুর চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় দক্ষতায় চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার জন্য তাকে শিশু শিল্পীর অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এই শিশু শিল্পীর বাবা সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন টিটু দৈনিক বাংলাদেশের আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

অ্যাওয়ার্ড পেয়ে রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। আমি সবাইকে বলবো, একজন মহান পিতা চলচ্চিত্র সবাই দেখুন। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন। অ্যাওয়ার্ড মনোনয়ন বোর্ডের যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আরও অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মির্জা আফরিন, হিমেল রাজ, আলভী সরকার, শেখ শাহ আলম, শ্যামল কান্তি নাগ, রাশেদুল ইসলাম রাজিব, রাকিব হোসেন, রাশেদ রেহমান, আব্দুর রাজ্জাক খোকন সাগরিকা, সৃষ্টি মির্জা এবং একটি বিশেষ চরিত্রে নির্মাতা মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সাংস্কৃতি বিভাগের সাবেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড.অসীম সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক ও কলামিস্ট প্রফেসর এম বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, সভাপতি বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া ক্লাব; নাট্য অভিনেতা ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সুরকার, গীতিকার, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ শাহ আলম।