ঋণে জর্জরিত সুপার পাওয়ার আমেরিকা

14

করোনার কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি চরম প্রভাবিত হয়েছে। বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশ আমেরিকাও এর থেকে রেহাই পায়নি। আমেরিকার অর্থনীতি ভারতের তুলনায় ৭ গুণ বড়। আমেরিকার অর্থনীতি ২১ ট্রিলিয়ন ডলারের। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের সবথেকে বড় অর্থনীতির দেশে ঋণের বোঝা ২৯ ট্রিলিয়ন ডলার (২৯ লক্ষ কোটি ডলার) হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় অর্থনীতির থেকে এই ঋণ প্রায় ১০ গুণ বেশি। আমেরিকা ভারতের থেকে ২১৬ বিলিয়ন ডলার (১৫ লক্ষ কোটি টাকা) ঋণ নিয়েছে। ২০২০ সালে আমেরিকার মোট ঋণ ২৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলার ছিল। সেই হিসেবে আমেরিকার প্রতি ব্যক্তির উপর ৭২৩০৯ ডলার (৫২ লক্ষ টাকার) এর ঋণ ছিল।

বিপাকে আমেরিকা (America)। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি যে দেশের, সেই দেশই কিনা ভুগছে আর্থিক সংকটে! ভারত(India)-ব্রাজিল-সহ বহু দেশের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা দেনা রয়েছে।শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। শুধু তাই নয়, যে চিনের সঙ্গে এতটা বিবাদ, তারাও আমেরিকার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা পায়।সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান তথা ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার (West Virginia) সেনেটর অ্যালেক্স মুনি।

মুনির মতে, ২০২০ সালে আমেরিকার ঋণের বোঝা ছিল ২৩.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগামিদিনে বেড়ে দাঁড়াবে ২৯ ট্রিলিয়নে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা পাবে চিন এবং জাপান। যা নিয়ে আরও উদ্বেগে মুনি। তিনি বলেন, “আমাদের ঋণের বোঝা বেড়ে দাঁড়াতে চলেছে ২৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে। যা কিনা প্রত্যেক মার্কিন নাগরিকের ঋণের থেকেও বেশি। এই নিয়ে অনেক ভুল তথ্যও ছড়িয়েছে। আর যে দুটি দেশ আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি অর্থ পায়, সেই চিন এবং জাপান কিন্তু আমাদের তেমন বন্ধু নয়।” এরপরই মুনি জানান, চিন এবং জাপান ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পায় আমেরিকার কাছে।

তবে এরপরই আরও অবাক করা তথ্য পেশ করেন মুনি। বলেন, ব্রাজিল, ভারতও তাঁদের কাছে টাকা পায়। তিনি বলেন, ”যারা আমাদের অর্থ ধার দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে সেই টাকা ফেরত দিতে হবে। ব্রাজিল আমাদের কাছ থেকে ২৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পায়। ভারত পায় ২১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এই তালিকা দিন দিন বেড়েই চলছে।” আর এরপরই তিনি বাইডেন প্রশাসনকে ঋণের বোঝা মেটাতে উপযুক্ত পদক্ষেপের আরজিও জানান। সম্প্রতি ক্ষমতায় এসেই করোনা মোকাবিলায় ১.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন জো বাইডেন। আর সেই প্রসঙ্গেই এই বক্তব্য মুনির।