ইয়াসের প্রভাবে উপকূলে বিপৎসীমার ওপরে জোয়ারের পানি

13

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব পূর্নিমার জোয়ারে উপকূলীয় জেলাগুলোর নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বাঁধ ভেঙে ও উপচে বহু গ্রাম গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এরমধ্যে পূর্নিমার জোয়ারে বরগুনার তিনটি নদীর পানির বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে বাঁধ ভেঙে ও উপচে প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জোয়ারের পানির তোড়ে বেশ কিছু এলাকার নাজুক বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। এছাড়াও নিম্নাঞ্চলের বাঁধের বাইরের বাসিন্দাদের ঘর-বাড়িতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।

বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী, ডালভাঙা ও নলী এলাকা, নলটোনা ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া, নলটোনা, সোনাতল ও কুমিড়মারা, বুড়িরচর ইউনিয়নের গুলবুনিয়া, বাঁশবুনিয়া, চালিতাতলী, আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন, বদরখালী ইউনিয়নের ফুলঝুড়ি, কুমড়াখালী ও গুলিশাখালী এলাকা, পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পদ্মা, জীনতলা, টেংরা, কালমেঘা, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া, ছোটবগী, নিদ্রার চর, তেতুলবাড়িয়া, খোট্টার চর, সোনাকাটা, নিউপাড়া, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, গুলিশাখালী, বামনা উপজেলার রামনা, বদনীখালী, বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি, ঝিলবুনিয়া, ছোট মোকামিয়া এলাকাসহ জেলার বেশ কিছু স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মিত বাঁধ ভেঙে ও উপচে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এছাড়াও ওইসব এলাকার বাঁধের বাইরের প্রায় শতাধিক বাড়ি-ঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে মহা দূর্ভোগে পড়েছেন ওইসব ঘরবাড়ির বাসিন্দারা।

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনার ইউনিয়ন ঢাল চরসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। মাঝে মাঝে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া বইছে।

জেলা প্রশাসন বলছে, তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহিরুদ্দিন, চর মোজাম্মেল, দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর, নেয়ামতপুর, ভবানীপুর ও মদনপুর এবং ভোলা সদর উপজেলার চর কাচিয়া ইউনিয়নের মাঝের চর, চর বৈরাগী, বারাইপুর, ভোলার চর, কানাবগির চর, রামদাসপুর, রুপাতলি, রাজাপুর, পশ্চিম ইলিশা, ভেদুরিয়া, ভেলুমিয়া ইউনিয়ন, চর চটকিমারার চারদিকে কোনো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নেই। এসব এলাকায় পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নেই। তাই এসব এলাকার মানুষদের নিরাপদে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।