নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য ইভিএম ভোটিং ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের এই পদ্ধতি বিভিন্ন দেশে প্রত্যাখ্যাত বলেও জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
রাষ্ট্র সংস্কারে দেওয়া প্রস্তাবনায় এ দাবি জানিয়েছে দলটি। বুধবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্র সংস্কারের এ প্রস্তাবনা ঘোষণা করে জামায়াতে ইসলামী।
এসময় ‘নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার প্রস্তাবনা’য় জামায়াতে ইসলামী জানায়:
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে স্থায়ীভাবে সন্নিবেশিত করতে হবে।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন দেশে প্রত্যাখ্যাত ইভিএম ভোটিং ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
কোনো সরকারি চাকরিজীবী তাদের চাকরি ছাড়ার কমপক্ষে ৩ বছরের মধ্যে কোনো ধরনের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করতে হবে।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ২০০৮ সালে প্রবর্তিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা বাতিল করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠিত হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন একাধিক দিনে অনুষ্ঠিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
জাতীয় পরিচয়পত্র-ব্যবস্থাপনা নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে হবে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত