করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউন চললেও ঠাকুরগাঁওয়ে রমজান উপলক্ষে রোজাদারদের কথা বিবেচনা করে হোটেল ও ইফতারির দোকান বিকেল ৩টা হতে ৫টা পর্যন্ত খোলা রেখে পার্সেল হিসেবে খাবার বিক্রয় করা যাবে।
এরই অংশ হিসেবে রমজানের ১ম দিনে জেলা প্রশাসক শহরের কয়েকটি হোটেল পরিদর্শন করেন এবং তাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইফতারের পণ্য সামগ্রী পার্সেল হিসেবে বিক্রয়ের পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসক ড: কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।
পরে তিনি চাউলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের বাজার মূল্য সম্পর্কে অবহিত হন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধকল্পে ঠাকুরগাঁও জেলায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের তৎপরতায় ৫টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সহকারী কমিশনারদের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টসমূহ জেলার বিভিন্ন হাট ও বাজারে অপ্রয়োজনীয় জনসমাগম রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে, মসজিদে নির্দিষ্ট সংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতি ও গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে নির্ধারিত দোকানপাট সমূহের বন্ধ থাকার অবস্থা মনিটরিং করেন।
এ সময় সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় দণ্ডবিধি, ১৮৬০ ও সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সদর উপজেলায় ১৮ টি রাণীশংকৈলে ৮টি ও হরিপুরে ২টি সহ মোট ২৮ টি মামলায় ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় বলে তিনি জানান।
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ডঃ কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে বাসায় থাকুন। নিজে নিরাপদ থাকুন, অপরকেও নিরাপদ রাখুন।