ইপিজেডে মেহেদী হাসান নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা,দুই আসামী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চট্টগ্রাম ইপিজেডে ৩৯নং ওয়ার্ডস্থ আকমল আলী রোড চৌরাস্তার চেয়ারম্যান বাড়ীর সামনে রাস্তার উপরে মেহেদী হাসান নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেন সাদিকুর রহমান (২৬) এবং রমজান আলী (৩৫)।গত ৯মে বুধবার দুপুর ২টার সময় সিইপিজেডস্থ কন্ডা আর্টস মেটেরিয়ালস ফ্যাক্টরীতে কর্মরত শ্রমিক,আসামী সাদিকুর রহমান (২৬) এবং রমজান আলী (৩৫) দ্বয়ের মধ্যে পাওনা টাকার বিষয় নিয়া কথার কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ঐসময়ে একে অপরকে দেখে নিবে বলে হুমকি ধমকি দেয় একপর্যায়ে উভয়েই ফ্যাক্টরী সহ অন্যান্য ফ্যাক্টরীতে কর্মরত পরিচিতজনদের বিষয়টি জানালে ফ্যাক্টরী ছুটির পর ফ্যাক্টরীর সামনে থাকতে বলে। ফ্যাক্টরী ছুটি হওয়ার পর ফ্যাক্টরীর সামনে উপস্থিত হলে একই তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার। ইপিজেডের আকমল আলী রোড চৌরাস্তা চেয়ারম্যান বাড়ীর সামনে সাদিকুর রহমান ও রমজান আলীর সহযোগীদের নিয়ে ছুরি দিয়ে আঘাতের ঘটনা ঘটে। ঐ সময়ে ঘটনাস্থল দিয়ে বাদী রেহানা বেগম (৪৮) এর ছেলে মেহেদী হাসান (১৯), তাহার নাতি মোঃ নাহিম (১৮) সহ অন্যান্য পথচারীরা আতংকিত হলে দিক-বিদিক ছুটাছুটিতে বাদীর ছেলে মেহেদী হাসান কে আসামী সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা এলোপাথারীভাবে ছুরির আঘাত করলে মেহেদী হাসান এর বুকের ডান পাশে, ডান হাতের কব্জির উপরে এবং ডান পায়ের হাটুর পিছনে গুরুতর রক্তাক্তভাবে জখম হয়। উক্ত ঘটনায় মেহেদী হাসান রিফাত (২২) ও শহিদুল ইসলাম (২৩) নামের দুইজন ব্যক্তিও ছুরিরআঘাতে জখম হয়েছে।

বাদীর ছেলে মেহেদী হাসান (১৯) এর শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে আসামীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে বাদীর নাতি মোঃ নাহিম উপস্থিত লোকজন এসে মেহেদী হাসান কে উদ্ধার করেন। চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

তথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদী রেহানা আক্তারের ছেলে মেহেদী হাসান গত ০৯ মে বুধবার রাত ১০টার সময় মারা যায়। পরবর্তীতে বাদী থানায় হাজির হইয়া সাদিকুর রহমান (২৬) এবং রমজান আলী (৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামী করিয়া থানায় এজাহার দায়ের করিলে ইপিজেড থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-১০/৫/২৪ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই মহসীন সরদার। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্তেরভার গ্রহন করছেন অতিরিক্ত
উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর), সিএমপি,চট্টগ্রাম।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর)অফিসার ইনচার্জ, ইপিজেড থানার সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে আকমল আলী রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার এজাহার নামীয় আসামী সাদিকুর রহমান (২৬) এবং মামলার ঘটনার সহিত জড়িত সন্দেহে মোঃ হাফিজুল ইসলাম (২৬) কে গ্রেফতার করেন।নিহত ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা- মেহেদী হাসান (১৯), সাং-ধলি চাঁদপুর আদর্শ গ্রাম, ডাকঘর-চাঁদপুর, থানা-তজুমদ্দিন, জেলা-ভোলা, বর্তমানে- ক্যান্টিন বয়, মেরিমো কোম্পানী, সিইপিজেড, থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম। গ্রেফতার সাদিকুর রহমান (২৬), পিতা-মোস্তাফিজুর রহমান, মাতা-সাহনুর বেগম, সাং-তেলিকান্দি থানা-ভান্ডারিয়া, জেলা-পিরোজপুর, বর্তমানে-আকমল আলী রোড, হোয়াইট হাউজ (নতুন মসজিদের পরে নেভী বিল্ডিংয়ের আগে), থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম। মোঃ হাফিজুল ইসলাম (২৬), পিতা- মোঃ হাশেম শেখ, মাতা- হাজেরা বেগম, সাং-পোরগোলা (সর্দার বাড়ী), পোঃ- কদমতলী, থানা- পিরোজপুর সদর, জেলা- পিরোজপুর, বর্তমানে- লায়লা ভবন, জানু সওদাগরের দোকান, আবু বক্কর জামে মসজিদের পাশে, সিমেন্ট ক্রসিং, থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ইপিজেড থানা সূত্রে।