গাজীপুর সদর উপজেলায় আটকের পর আওয়ামী লীগের এক নেতাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে বিক্ষোভ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৮টার পর জেলার জয়দেবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল শিকদারকে (৩৮) শুক্রবার আটক করে পুলিশ। এর পরপরই জামায়াতে ইসলামীর শতাধিক নেতাকর্মী থানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। থানা ঘেরাও করে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তবে থানা ঘেরাওয়ের কথা অস্বীকার করেন পুলিশ ও জামায়াতের নেতারা।
সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল বারী বলেন, ‘দল করার অধিকার সব নাগরিকের আছে। দল করার কারণে কোনও নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে থানায় এনে নির্যাতন করা যাবে না। এ জন্য ছাত্র-জনতা রক্ত দেয়নি। প্রত্যেক নাগরিক যেন নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারে সে জন্য ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে।’
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম জানান, ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শফিকুল সিকদারকে আটক করা হয়। তবে জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে নিজেদের কর্মী দাবি করে থানার সামনে জড়ো হন।’
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শফিকুল সিকদার ২০১৮ সালের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত হন।’
তার দাবি, অন্য একটি দলের নেতারা শফিকুল সিকদারকে নিজেদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। ওই দলে যোগ না দেওয়ার কারণে তারা শফিকুল সিকদার পুলিশে ধরিয়ে দেন। এ কারণে কথা বলার জন্য থানায় যান জামায়াতের স্থানীয় নেতারা।
এদিকে ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও তিন যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত ও অনুমোদিত ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটিতে ২৩ নম্বর ক্রমিকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শফিকুল সিকদারের নাম রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত