বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আল জাজিরার প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর সরকার বেকায়দায় পড়ে এর থেকে জনগণের চোখ সরাতেই এখন মেজর জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল করার মতো নোংরামি শুরু করেছে। জনগণ এখন অনেক সচেতন। তাই সরকারের শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা সফল হবে না।
সংবিধান লঙ্ঘন, সংবিধানের মূলনীতি বাতিল, মুক্তিযোদ্ধা হয়েও স্বাধীনতাবিরোধী লোকজনকে নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করা, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের অভিযোগ এনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পাওয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করা হচ্ছে।
এমন খবরের প্রতিক্রিয়ায় রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
শুধু জিয়াউর রহমানের খেতাবই নয়, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।
এর ফলে জিয়াউর রহমানসহ এই পাঁচজন এবং তাদের পরিবার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।
মঙ্গলবার জামুকার ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
রিজভী বলেন, ১৯৭১ সালে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমানের ঘোষণা শুনে লাখ লাখ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি শুধু ঘোষণা দিয়েই বসে থাকেননি। নিজে সরাসরি একটি সেক্টরে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এমন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিলের মতো ঘৃণ্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত থেকে সরকার ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এরপরও যদি তারা এমন ঘৃণ্য সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে না আসে তাহলে জনগণ বসে থাকবে না। বিএনপির কোটি কোটি নেতৃবৃন্দ জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। আর এজন্য সরকারই দায়ী থাকবে।