সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি অডিও ক্লিপ। এটি মূলত একটি ফোনালাপ। অডিও ক্লিপটিতে শোনা যায়, মাহিকে তাৎক্ষণিক তার কাছে যেতে বলছেন মুরাদ। নায়িকা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী।
পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থান করছেন মাহি। সেখান থেকেই লাইভে আসেন তিনি।
লাইভে মাহি বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমি মাহিয়া মাহি। আমি এখন হারাম শরিফে আছি, মক্কাতে। সবাই নিশ্চয় জানেন যে আমি ওমরা পালন করতে এসেছি। এজন্য ফোন-কল রিসিভ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইবাদত করতে এসেছি, ইবাদত ঠিকমতো করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমি যেটা বলার জন্য ভিডিওটা করছি সেটা হচ্ছে যে... আমি সেদিনও ভীষণ বিব্রত ছিলাম, নিজের আত্মসম্মান বোধে কতটুকু আঘাত লেগেছে, তা আমি জানি আর আমার আল্লাহ জানেন এবং আজকেও আমি ভীষণ বিব্রত। আমি নিজের কাছে নিজেতো ছোট হয়েছিই দেশবাসীর কাছে আরও একবার ছোট হলাম। কিন্তু আপনারা নিজের থেকে একবার চিন্তা করে দেখবেন যে এই ভাষার প্রতিউত্তর অথবা এই ব্যবহারের প্রতিউত্তর আমার আসলে কি দেওয়া উচিত ছিল? আদৌ আমি আসলে... আমার বলার ভাষা সেদিন ছিল না। আমি সেজন্যই কোনো প্রতিবাদ সেদিন করিনি..নিজের মতো করে যেভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায় সেভাবেই পাশ কাটিয়ে গিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘ঠিক দুবছর আগের একটা ঘটনা ছিল। আমি বরাবরের মতো আল্লাহর কাছে বলি, যে আল্লাহ আমি কষ্ট পেয়েছি, যার মাধ্যমে কষ্ট পেয়েছি কোনো না কোনোভাবে একদিন তিনি সেই রেজাল্ট পেয়েছেন, এটা প্রমাণিত। আলহামদুলিল্লাহ...’
মাহি বলেন, ‘আমি সাংবাদিক ভাইদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য লাইভে এসেছি। এই বিষয়টা নিয়ে আসলে এখানে কথা বলার মতো কিছু নেই। আপনারা আমার জায়গা থেকে আমার হয়ে চিন্তা করবেন, যে আসলে আমি দোষী কি-না.... আমি এতোটুকুই বলব। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
তিনি বলেন, ‘দোয়া করবেন যাতে আল্লাহ আমাদের ওমরাহ কুবল করেন। আল্লাহ সাক্ষী আমার কোনো দোষ ছিল না। আমি জাস্ট একটা পরিস্থিতির শিকার ছিলাম, আসসালামু আলাইকুম।’
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত