প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা সব থেকে বেশি মেধাবী। তাদেরকে সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সেটাই আমাদের কর্তব্য। সেই সুযোগটি আমরা করে দিতে চাই। সে কারণেই ফেলোশিপটা চালু করেছি।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি এই ফেলোশিপকে ট্রাস্ট করে আইন করে দিয়ে যাবো, যেন ভবিষ্যতে এটা বন্ধ করতে না পারে। আমরা এখন যাই করব একটি ট্রাস্ট ফান্ড করে দিবো।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে। ৯টি ভাষা দিয়ে ফ্রি অ্যাপস চালু করে দিয়েছি। কারণ ফ্রিল্যান্সাররা যাতে ভাষা শিখে কাজ করতে পারে। একটা গ্রামে বসে যেন তারা কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী আছে তারা যেন সবদিক থেকে সুযোগ সুবিধা পায়। তারাও যেন এগিয়ে যায়। শিক্ষায় তারাও যেন পিছিয়ে না পড়ে। সেদিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব পরিবর্তনশীল। তাই আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমরা কারও থেকে পিছিয়ে থাকব না, আমরা সবসময় এগিয়ে থাকব। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ী জাতি। তাই মাথা উঁচু করে বিশ্বের দরবারে আমরা চলব। সেভাবে আমাদের গড়ে উঠতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার ডাকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। পরিবার, পরিজন, বাবা-মা সবার মায়া ত্যাগ করে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় নিশ্চিত করেছেন তারা। তাই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে।
তিনি বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। আমাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত