বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা একটা ভয়াবহ সঙ্কটের মধ্যে আছি। এ সঙ্কট শুধু বিএনপির না, এটা গোটা জাতির।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শনিবার (১১ ডিসেম্বর) আপনারা দেখেছেন আমাদের প্রতিষ্ঠান র্যাব ও র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা সেদেশে যেতে পারবে না। তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। এটা দেশের জন্য অনেক বড় লজ্জার ঘটনা। আমার বয়স ৭৪ বছর। আমি কোনো দিন শুনিনি, পাকিস্তান আমলে হোক, বাংলাদেশে হোক, আমাদের কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপরে, কোনো কর্মকর্তাদের ওপরে এ ধরনের কলঙ্কজনক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিস ইজ শেম অন আওয়ার কান্ট্রি। আজকে আওয়ামী লীগ সেই অবস্থা তৈরি করেছে। তারা নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, দুঃখ হয় আমাদের সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান তাকেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমরা এমন একটা অসভ্য বর্বর, অগণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছি আমাদের রাষ্ট্রের যারা ওপরের দিকে আছে, যাদের ওপরে রাষ্ট্র নির্ভর করে তাদেরকে আজকে বিভিন্ন রাষ্ট্র গ্রহণ করতে রাজি হচ্ছে না। তারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের জন্য বিপদজ্জনক। এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। লজ্জা হয়, দুঃখ হয়, যখন আমরা দেখি এই সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী কী অশালীন ভাষায় কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখন হাসপাতালে। একটা মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। কারণ একটাই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বাইরে রাখা যাবে না। তার মধ্যে যে ক্ষমতা আছে মানুষকে জাগিয়ে তোলার, সেই লড়াইকে ক্ষমতাসীনরা ভয় পায়। চিকিৎসকরা ইতোমধ্যেই বলেছেন, তার (খালেদা জিয়া) যে চিকিৎসা দরকার সেটা এদেশে নেই। তাকে বাইরে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য শুধু কথায় কাজ হবে না। আমরা যে আন্দোলন শুরু করেছি, এই আন্দোলনকে আরও দুর্বার গতিতে করতে হবে। দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তাকে মুক্ত করে বাইরে পাঠাতে হবে। এজন্য আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। সংগঠন যদি শক্তিশালী না থাকে তাহলে কোনো আন্দোলনই সফল হবে না।
কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক টিএস আইয়ুবের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কৃষিবিদ গোলাম হাফিজ কেনেডি, সহ-সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী, আবুল বাশার আকন্দ, নাসির হায়দার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, মামুনুর রশীদ খান, কর্নেল (অব.) এস. এম ফয়সাল, খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. দৌলতুজ্জামান আনছারী, আ.ন.ম.খলিলুর রহমান (ভিপি ইব্রাহীম), সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন এম পি, ফেরদৌস পাটোয়ারী প্রমুখ।