পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার গরিবের বন্ধু। আর দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সারাবিশ্বে এক নম্বর। দেশের যেকোনো দুর্যোগে শেখ হাসিনার সরকার সবসময় জনগণের পাশেই রয়েছে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
গেল বন্যায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যাতে সহায়তা নিশ্চিত করা যায়, সেজন্য তথ্য দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান ড. মোমেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের প্রতিনিধি। আপনারা যদি আমাকে তথ্য দেন, তাহলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তা দেওয়া সহজ হবে।
মোমেন বলেন, আকস্মিক বন্যায় যখন সিলেট প্লাবিত হলো, তখন মানুষের অসহায়ত্বের কথা জানা মাত্রই আমি ব্যবস্থা নিয়েছি। সরকার সবধরনের সহায়তা দিয়েছে। আমরাও সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি সহযোগিতা নিয়ে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। বন্যায় আমাদের রাস্তাঘাটসহ অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং এগুলোর উন্নয়নেও সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে মোমেন জানান, সিলেট সদরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০ পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ২ বান্ডেল করে ঢেউটিন ও ৬ হাজার টাকার চেক, সর্বমোট ৩০০ বান্ডেল ঢেউটিন ও ৯ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। গেল বন্যায় সিলেট সদরে ত্রাণ সহায়তা হিসেবে এযাবত ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ১৭৪ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বেই বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তবে সরকার খুব চেষ্টা করছে জিনিসপত্রের দাম যেন সহনীয় মাত্রায় রাখা যায়। গরীব মানুষ যেন কষ্টে না থাকে সেজন্য এক কোটি পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আগামীতে সিলেটে বন্যার প্রকোপ কমানোর লক্ষ্যে এবং সিলেটে নদী ভাঙন ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী নভেম্বরেই এ কাজ শুরু হবে। শেখ হাসিনার সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে জনগণের কল্যাণের জন্যই কাজ করে যাবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত আজমেরী হক। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী সেলিনা মোমেন উপস্থিত ছিলেন।