
মোমিনুর রহমান:
আইসিসির “International Panel of Umpires” তালিকায় বাংলাদেশ থেকে তালিকাভুক্ত আম্পায়ার ছিলেন চারজন। শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত, মাসুদুর রহমান মুকুল, তানভীর আহমেদ এবং গাজি সোহেল।
কিছুদিন আগে আম্পায়ার সৈকত আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ায় তার জায়গাটা শূন্য হয়ে যায়, ফলে বাংলাদেশ থেকে আরেকজন আম্পায়ারের নাম পাঠানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়। বিসিবি সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে আইসিসির কাছে জাতীয় দলের সাবেক পেসার এবং বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের আম্পায়ার মোরশেদ আলি খান সুমনের নাম পাঠিয়েছে।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগেই আইসিসি আন্তর্জাতিক প্যানেল আম্পায়ার হিসেবে মোরশেদ আলি খানকে তালিকাভুক্ত করবে বলে মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায়৷তার কারণ আম্পায়ার গাজি সোহেল রয়েছেন আরব আমিরাতে। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের মোট সাতটি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করবেন গাজি সোহেল, যার ভেতর অন-ফিল্ড আম্পায়ার থাকবেন পাঁচ ম্যাচে।
অর্থাৎ, জিম্বাবুয়ে সিরিজের অন্তত প্রথম তিন ম্যাচে থাকতে পারছেন না গাজি সোহেল।
অথচ, একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করতে চারজন লোকাল আম্পায়ার দরকার পড়বে বিসিবির। সুতরাং মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায় জিম্বাবুয়ে সিরিজেই আইসিসির প্যানেল আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন মোরশেদ আলি খান সুমন। তবে অন-ফিল্ড আম্পায়ার থাকবেন নাকি পুরো সিরিজেই তাকে চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। আমার বিশ্বাস অন্তত একটা ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ার থাকবেন সুমন।
আইসিসির প্যানেল আম্পায়ার না হলেও এই বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করার সুযোগ পেয়েছেন সুমন। চলমান ACC Men’s Premier Cup টুর্নামেন্টে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি, ১২ এপ্রিল কুয়েত এবং আরব আমিরাত ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন সুমন। এখন পর্যন্ত মোট পাঁচটি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন এসিসি প্রিমিয়ার কাপে।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়া নারী দলের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচেও আম্পায়ার ছিলেন সুমন।
আইসিসির প্যানেল আম্পায়ার হলে নিয়মিত ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করার সুযোগ পাবেন তিনি, এমনকি পারফর্মেন্স ভালো হলে আইসিসি প্যানেল আম্পায়ারদের নিউট্রাল সিরিজেও নিয়োগ দিয়ে থাকে। এলিট প্যানেলে সুযোগ পাওয়ার আগে যেভাবে সৈকত বিভিন্ন টুর্নামেন্টে বা সিরিজে আম্পায়ারিং করেছেন।
মানিকগঞ্জের সন্তান সুমন ১৯৯৮ সালে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত ট্রাই-সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে তিনটি ওয়ানডে খেলেছিলেন৷ অভিষেক ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১০ ওভার বল করে ৩১ রানে ১ উইকেট নিয়েছিলেন৷
জাতীয় দলের হয়ে এই তিনটি ম্যাচই খেলেছেন এই বাহাতি পেসার। ২০০০-২০০১ সিজন পর্যন্ত খেলেছেন ঘরোয়া ক্রিকেট।
আইসিসি আন্তর্জাতিক প্যানেলে যে চারজন বাংলাদেশি আম্পায়ার আছেন (সৈকতসহ) তাদের ভেতর তানভীর ইসলাম বাদে সবারই রেকর্ড অনেক ভালো, ২০২১-২০২২ সিজনে মাসুদুর রহমান মুকুলের সঠিক সিদ্ধান্তের হার ছিল ৯৭% যেটা প্রায় অবিশ্বাস্য। গাজি সোহেল ভালো করায় এখন আইসিসি টুর্নামেন্টে আম্পায়ারিং করার সুযোগ পেয়েছেন। সৈকত এলিট প্যানেলের গর্বিত সদস্য এখন। আম্পায়ার সুমন এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন এটাই এখন সবার প্রত্যাশা।