চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে বি ব্লকে অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় কাজী নুরুল হক নামের এক যুবককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনি হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করেন।
হালিশহর বি ব্লক ২ নং রোডের বাসিন্দা কাজী নুরুল হক জানান, বি ব্লকের চিহ্নিত মাদক সম্রাজ্ঞী জরিনা এবং তাঁর ছেলে রুবেলের সহযোগীরা কাজী নুরুল হকের বাসার পাশে অবৈধ ভাবে বস্তি তুলে সেখানে দিনের পর দিন অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি তাদের যায়গা ছেড়ে দিতে বললে জরিনা ও তার ছেলে রুবেল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চাপাতি, রামদা, লাঠিশোটা নিয়ে আমাকে ও আমার পরিবার এর উপর নিসংস হামলা করে এবং বাসায় ঢুকে লুটপাট চালায়। এতে আমার ভগ্নিপতি, বড় ভাইসহ পরিবারের লোকজন আহত হয়।
খোজ নিয়ে জানা গেছে এই জরিনা স্থানীয় আওয়ামী লীগের ডি ইউনিটের সভাপতি নাহিদ ইসলাম মজুমদারের সাথে জরিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বি ব্লকে খালপাড়ে সরকারি জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে বসতবাড়ি গড়ে তোলে মাদকের আস্তানা এবং নিয়মিত অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতো ওই সময় জরিনার ছেলে মোঃ রুবেল নাহিদ মজুমদারের ড্রাইভার হিসেবে কাজ করায় এলাকাবাসী ভয়ে মুখ খুলতে পারতো না।এই অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে জরিনা ও তার পরিবারে ৩ সদস্যকে ২০১৬ সালে হালিশহর থানায় অশ্লীল ছবি ভিডিও করে প্রতারণা'র মামলায় আটক করা হয়।
আগস্টের ৫ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে এখন জরিনা ভোল পাল্টে স্থানীয় বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব আবুল হাসেম এর সাথে সক্ষতা গড়ে তুলেছে।
কাজী নুরুল হক আরো বলেন থানায় মামলা করবার পর আসামিরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা বিভিন্নভাবে আবুল হাশেমের ভয় দেখিয়ে মামলা তুলে নেবার জন্য হুমকি ধামকি প্রদান করেন। মামলায় এজাহারভূক্ত আসামি সোহাগ, খোরশেদ, সোনিয়া তাদের ভাড়াটিয়া। তারা অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত।
হালিশহর থানার ওসি (তদন্ত) মুজাহিদ মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কাজী নুরুল হক ১৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত আছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত