অবসরে গিয়েও বহাল তবিয়তে প্রধান শিক্ষক

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক: স্বেচ্ছায় অবসরে গিয়েও পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদে বহাল তবিয়তে আছেন রেহেনা বেগম। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের অভিয়োগ, সেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার পরেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। প্রধান শিক্ষকের পদের ক্ষমতার প্রভাব ঘাটিয়ে সহকারি শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ ও বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। এতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে জানান সহাকারী শিক্ষকরা। এবিষয়ে জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পদে থাকা প্রধান শিক্ষক রেহেনা বেগম।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রেহনা বেগম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়ে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে অবসর গ্রহণের অভিপ্রায় লিখিতভাবে ব্যক্ত করে অবসর গ্রহণ করেন। সেই মোতাবেক চলতি বছরের ২৫জুলাই ছিল তার শেষ কর্মদিবস। তবে অবসরে যাওয়ার দেড় মাস অতিবাহিত হলেও তিনি প্রধান শিক্ষকের পদে বহাল আছেন। যা নিয়ে বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিশু শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনিচুর রহমান বলেন,‘ সরকারি চাকরি আইনানুযায়ী ঐচ্ছুক ভাবে অবসারে গেলে তা চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে। তা সংশোধন বা প্রত্যাহার করা যাবে না। তারপরেও তিনি কোন ক্ষমতা বলে প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করে আছেন তার আমার বোধগম্য নয়। সভাপতি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে প্রায় ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। একে অপরকে অশোভন ভাষায় গালিগালাজ করে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। এতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নতুন প্রধান শিক্ষকের অবসারে যাওয়া বাস্তবায়ন করে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবি তুলেন ম্যানেজিং কমিটি ও সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার বিষয়ে রেহেনা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন,‘ তিনি স্বেচ্ছায় অসবরে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার আবেদন গ্রহণ করা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। অতিদ্রত এবিষয়ে আদেশ আসবে।