অপহৃত ৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে উদ্ধার ৩

15

কক্সবাজারের রামুর প্যাঁচার দ্বীপ এলাকা থেকে অপহৃত ৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে র‌্যাব ও এপিবিএন পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে উদ্ধার করেছে। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকায় পৃথক এ অভিযান চালায় পুলিশ, র‌্যাব ও এপিবিএন সদস্যরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অ্যান্ড ল) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, রামু থেকে অপহরণের শিকার মো. কায়সারকে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

অপরদিকে ১৬ এপিবিএনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অপহৃত চার স্কুলছাত্রের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম মামুন ও মিজানুর রহমান নয়নকে উদ্ধার করেছে এপিবিএন। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভোরে নুর সালাম (৫০), রনজন বিবি ও সাদ্দাম মিয়া নামে তিনজনকে আটক করা হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের প্যাঁচার দ্বীপ মাঙ্গালাপাড়া বাতিঘর কটেজ এলাকা থেকে আব্দুর রহিমের ছেলে মো. কায়সার (১৪), একই এলাকার মোহাম্মদ আলমের ছেলে মিজানুর রহমান নয়ন (১৪), আব্দুস সালামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৫) ও ফরিদুল আলমের ছেলে মিজানুর রহমানকে (১৪) সেন্টমার্টিনে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অপহরণ করে প্যাঁচার দ্বীপ বাতিঘর রিসোর্টের রোহিঙ্গা কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহীম। পরে তাদের জীবিত ফিরে পেতে হলে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় রামু থানায় স্কুলছাত্রদের অভিভাবকরা সাধারণ ডায়েরি করেন।