মুনজেরিন মেডিকেলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কয়েক বছর ধরে নাদিয়াকে দেখা যায় ‘ভাইয়া ভাইয়া’ বলে, কলেজের বড় ভাই আয়মানের সাথে বেশ খাতির দেখাতে। আয়মানেরও মেডিকেল কলেজে বেশ সুনাম ভালো ছাত্র হিসেবে। তাই পড়া বুঝে নেওয়ার জন্য মুনজেরিন সারাক্ষণই ‘ভাইয়া’ ডেকে আয়মানের কাছে যায় বারবার। ‘ভাইয়া’ ডাক তো স্রেফ আয়মানের সঙ্গে খাতির করার একটি মাধ্যম মুনজেরিনের। আয়মান আর মুনজেরিনের প্রেমের প্রথম পর্ব শুরু হলো ‘ভাইয়া’ ডাকার মাধ্যমেই।
আজকাল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, অফিসে অনেকের সারাক্ষণ শুনতে হয়, ‘ভাইয়া এটা কী? এই বিষয়টা যদি ফ্রি থাকেন বুঝিয়ে দিন। অথবা এই বিষয়ে নোট তৈরি হয়েছে কিনা?’ এক জরিপে দেখা গেছে অফিস, ভার্সিটি,কলেজে ‘ভাইয়া ভাইয়া’ উৎপাত আসলে সব সময় বিরক্তির কারণ না। কারণ যেই মেয়েটি আপনাকে সারাক্ষণ ভাইয়া ডেকে জ্বালাতন করছে, তার মনে আপনার প্রতি প্রেমের অনুভূতি থাকতে পারে। নিচের লক্ষণগুলো যদি মিলে যায় তাহলে আপনি মোটামুটি নিশ্চিত হতে পারবেন যে মেয়েটি আপনার প্রেমে পড়েছে–
- মেয়েটি আপনাকে কারণে অকারণে ফোন দেয়। ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চায়।
- হঠাৎ করেই ফোন করে জানায় তার মন খারাপ লাগছে এবং সে দেখা করতে চায়। কিংবা ‘বৃষ্টি হচ্ছে’, ‘চাঁদ উঠেছে’ এসবই আপনার সঙ্গে শেয়ার করে ফোন দিয়ে।
- বিশ্ববিদ্যালয় অথবা অফিসে কোন জটিল সমস্যায় পড়লে সে কি আপনার সাথে আলাপ করে? কোন বুদ্ধি চায়?
- তার জন্মদিন কিংবা বিশেষ দিনগুলো আপনার সঙ্গে কাটাতে চায় এবং আপনার আসার অপেক্ষা করে।
- জীবন সঙ্গী হিসেবে সে কেমন ছেলে চায় তা কি আপনাকে বারবার বলছে? আপনার সঙ্গে কি মিলছে তার কাঙ্ক্ষিত জীবন সঙ্গীর গুণাবলি গুলো?
এমনও তো হতে পারে যেই মেয়েটি আপনার মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে, আপনি নিজের অজান্তেই তার প্রেমে পড়েছেন। নিচের লক্ষণগুলো মিলিয়ে দেখুন তো আপনার মনেও এমন অনুভূতি হচ্ছে কিনা।
- কিছু কথা থাকে, যা সবাইকে বলা যায় না। সেসব কথা যদি আপনি নির্দ্বিধায় তাকে বলতে পারেন এবং সেও কোনো কিছু মনে না করে কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করে, তাহলে ধরে নেবেন আপনি তার প্রেমে পড়েছেন।
- সে যা বলছে তাই আপনার ভালো লাগছে, কোনো কিছুতেই আপনি বিরক্ত হচ্ছেন না। এটি হলো প্রেমে পড়ার প্রধান লক্ষণ।
- হঠাৎ দেখলেন সে আজ অনুপস্থিত। আপনার মনের মধ্যে কি কোন পরিবর্তন আসে। জানতে ইচ্ছে হয় কি হয়েছে? তাহলে বুঝে নেবেন আপনি তার প্রেমে পরেছেন এবং তাকে প্রতিমুহূর্তে অনুভব করছেন।
- তাকে নিয়ে আপনার বন্ধুদের কেউ কটূক্তি করলে আপনি ক্ষেপে যাচ্ছেন এবং কষ্ট পাচ্ছেন মনে।
- তাকে বিপরীত লিঙ্গের অন্য কারও সঙ্গে দেখলে আপনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।