
জনগণ সংবিধান চালায় নাকি সংবিধান জনগণ চালায় বলে মন্তব্য করেছেন,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীরসেক্রেটারী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
গতকাল বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশো’তে তিনি একথা বলেন।
আমরা এখনো কোন পলিটিক্যাল সরকারে যাই নি উল্লেখ করে শফিক আরো বলেন, সিনারিও গুলো আমাদের সামনে রাখতে হবে।
এই সংবিধান দিয়ে আমরা কি করতে পেরেছি। আমরাতো এখনো কোন সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে নেই উল্লেখ করে শফিক আরো বলেন,ধরেন পুরো সংবিধান যদি বাতিল করলেও এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলা এখানে থাকবে।আবার বাতিল না করলেও এখানকার অনেক জিনিস আপনাকে আবার রিকমেন্ডেশন করতে হবে।সুতরাং এখানে কিছু সৃষ্টি বা ধ্বংস করার কিছু নাই।
এমন একটা সময়ে আছি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন. অন্তবর্তীকালীন সরকারে কোন পলিটিক্যাল সরকার নাই। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে অনুমতি নিতে হবে, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হবে থানা ঘেরাও করা হবে এই ম্যাসেজটা যখন যাওয়া হয়।আবার ১৫ বছর ফ্যাসিস্টরা এটা দখল করে রেখেছে এখন আমার লোকদেরতো আমার চালাইতে হবে এরকম বিষয়গুলো যখন আমাদের নাগরিকদের সামনে আসে ,তখন সংবিধানের আলোচনাটা আসে না।আলোচনাটা আসে এক্সিকিউশন পলিসিতে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কারটা আমরা করতে পেরেছি কি না।
আমি মনে করি আমাদের সংবিধানের আলোচনা যতটা গুরত্বপূর্ণ তার চেয়ে আমাদের মনন,চিন্তা,পরিকল্পনা,চরিত্রের বিরাট জায়গা আমাদের ধ্বংস হয়ে গেছে।
আমিতো মনে করি আসল কথা হচ্ছে আমাদের প্রত্যেক পটিলিক্যাল পার্টি,যারা আমাদের শুভানুধ্যায়ী তাদের চিন্তা দৃষ্টিভঙ্গির জায়গাটাও সংস্কারে আসা উচিত।
আমার চাওয়া পাওয়াটা আমি ৫৩ বছরে পূরণ করতে পেরেছি কিনা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমাকে বুঝতে হবে, আমরা যে বাংলাদেশটা এখন তৈরী করেছি ২০২৪ এর জুলাই আগস্ট এর মধ্য দিয়ে; এটার একটা রিফ্লেকশন আসছে আমাদের কাছে।
এই সাত মাসে সাধারণ মানুষের কাছে প্রত্যাশার জায়গা তুলে ধরতে পেরেছি কিনা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন,আমার কাছে মনে হয়েছে, অন্তবর্তী সরকার নিয়ে আমার প্রশ্ন নয়। আমার প্রশ্ন হল, আমার দলকে নিয়ে, আমার কর্মীদের নিয়ে।
আগে ফ্যাসিস্টদের ৫০ টাকা দিতাম আর এখন ১০০ টাকা দিলেও তারা রাজি হচ্চে না।আগে ১ জনকে দিতাম এখন ৩ জনকে দেওয়া লাগতেছে। এরপর ৩ জনকে দেওয়ার পরও আমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাতে পারছি না।হোয়াট ইজ দ্য সিনারিও।
এই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কালকে একটা মার্কা দিয়ে নির্বাচন দিয়ে দিবেন, ইলেকশনে জিতে যাবেন,আবার ৫ বছর ক্ষমতায় থাকবেন ওই দিন শেষ হয়ে গেছে।
আমরা যেমন বলিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় কে আসবে এটা বাংলাদেশের জনগণ ঠিক করে দিবে, পাশের দেশ ভারত ঠিক করবে না। ঠিক একইভাবে আমাকেও মাথায় নিতে হবে ফ্যাস্টিস্টদের আচরণ যদি আমার মধ্যে থাকে তাহলে জুলাই-আগস্ট বা ৫ই আগস্ট একটা না আবার ঘটবে।আবার আপনাকে মুভমেন্ট এর মুখে আপনাকে পড়তে হবে।এ বিষয়টা যদি আমরা বুঝতে পারি তাহলে আমরা বসেই ঠিক করতে পারবো সংবিধানের লাইনটা কি হবে।