হাসিনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে সেবার জিয়াকে খুন, এবার কাকে: সাহাবুদ্দিন লাল্টু

১৯৮১ সালে শেখ হাসিনাকে দেশে ঢুকতে ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধাবস্থা থেকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেই কাজটি কতটা সঠিক ছিল সেটি একসময় গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাহাবুদ্দিন লাল্টু।

একইসাথে তিনি বলেছেন, সেবার প্রেসিডেন্ট জিয়ার মাধ‍্যমে ভারত হাসিনাকে পুশ-ইন করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রেসিডেন্ট জিয়াকেই নাই করে দিয়েছিল। সেবারও প্রেসিডেন্ট জিয়াই নিষিদ্ধ আঃ লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। কালক্রমে সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারত হাসিনা ও আঃ লীগের মাধ‍্যমে বাংলাদেশে একটি ফ্যাসিজম কায়েম করে রেখেছিল।

শনিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সাহাবুদ্দিন লাল্টু একথা বলেন।

তিনি বলেন, এই ১৬ বছর বাংলাদেশের মর্যাদা ভারতের কাছে ভারতের একটি অঙ্গরাজ‍্যের চেয়েও নীচে ছিলো। হাসিনা বলেছিলেন, “ভারতকে আমি যা দিয়েছি, তা ভারত কোনদিনই ভুলবে না।” এরই মধ‍্যে ভারতের সকল দল একমত হয়েছে যে, হাসিনার প্রশ্নে তারা এক‍্যবদ্ধ। সুতরাং এটি এক সময় গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে যে, প্রেসিডেন্ট জিয়া হাসিনাকে দেশে ঢুকতে দিয়ে এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধাবস্থা থেকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়ে কতটুকু সঠিক কাজ করেছিলেন। উল্লেখযোগ্য যে, ৫০ বছর পর আজকের বিএনপি শহীদ জিয়ার সেই পথেই হাঁটছে। তারা আঃ লীগের নিষিদ্ধ চায় না।

সাহাবুদ্দিন লাল্টু আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, কয়দিন পর ক্ষমতায় আসলে হয়তো ভারতের চাপে পড়ে হাসিনাকেও দেশে ফিরতে দিবে। একদিন হাসিনা কিংবা তার ছেলেমেয়েরা ক্ষমতায় ফিরবে। তবে সেবার ভারত হাসিনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে হত‍্যা করেছিলো, এবার করবে কাকে?

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনা এবার ফ্যাসিজম টিকিয়ে রেখেছে ১৬ বছর, পরেরবার রাখবে কত বছর? নাকি পরেরবার বাংলাদেশকে প্রথমেই সিকিম বানিয়ে ফেলবে?